আল্লামা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ জালালুদ্দীন
আল্লাহ তা’আলা মানুষকে তাঁর এবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছেন। শুধু মানুষ নয়; মানুষ ও জ্বীন-উভয় জাতিকে আল্লাহ তাঁর এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ তা’আলা বলেন- “আমি মানব ও জ্বীন জাতিকে একমাত্র আমার এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।” [১]
ফলে তিনি মানুষের জন্য কিছু দৈহিক, আত্মিক ও আর্থিক এবাদতের প্রনয়ন করেছেন।দৈহিক এবাদতের মাঝে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও মহান এবাদত হল নামাজ। নামাজ এমন একটি এবাদত যাকে আল্লাহ তাঁর মাঝে এবং তাঁর বান্দার মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম সাব্যস্ত করেছেন।সহীহ হাদীসে এর প্রমাণ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন নামায আদায় করে তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে (মুনাজাত করে) নির্জনে কথা বলে।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন- “বান্দা সিজদারত অবস্থায় তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়।” [২]
নামাজ একমাত্র এবাদত যা আল্লাহ তা’আলা সাত আসমানের উপরেই ফরজ করাকে শ্রেয় মনে করেছেন। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মে’রাজে গমন করেন তখন আল্লাহ তা’আলা সরাসরি-কোন প্রকার মাধ্যম ছাড়াই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে নামাজ উপহার দিয়েছেন। এতে নামাজের মহত্ত্ব, মর্যাদা ও গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটে।
ইসলামে নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম। নামায ইসলামের দ্বিতীয় রুকন, যা সুপ্রতিষ্ঠিত করা ব্যতীত কামেল মুসলমান হওয়া যায় না। নামাযে অবহেলা, অলসতা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এরশাদ- “মুমিন ও কুফর-শিরকের মধ্যে ব্যবধান হল নামায পরিত্যাগ করা”। [৩]
তা ছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, “কোন আমল উত্তম’ জিজ্ঞাসা করা হলে তার প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন: “সময় মত নামায আদায় করা”। [৪]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইনতিকালের সময় তাঁর উম্মাতের জন্য সর্বশেষ অসিয়ত এবং অঙ্গীকার গ্রহণ ছিল, তারা যেন নামায ও তাদের দাস-দাসীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে।” [৫]“কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব হবে। যদি নামাজ ঠিক হয় তবে তার সকল আমল সঠিক বিবেচিত হবে। আর যদি নামাজ বিনষ্ট হয় তবে তার সকল আমলই বিনষ্ট বিবেচিত হবে।” [৬]
ঈমানের পরই নামাজের স্থান। একজন লোকের ঈমানের প্রমাণ ও বাস্তব রূপ প্রকাশ পায় তার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। নামাজের মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহর সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায়। ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ সংকটকমুক্ত হয়। নামাজের মাধ্যমে একজন মুমিন সরাসরি তার প্রভুর সান্নিধ্য পৌঁছে এবং আল্লাহর নিকট বিপদাপদ ও দুঃশ্চিন্তার কারণ গুলো তুলে ধরে। একারণেই যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন বিষয়ে চিন্তিত হতেন তাড়াতাড়ি নামাজে মগ্ন হতেন।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” [৭]
আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন: “এবং তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। অবশ্যই তা কঠিন কিন্তু বিনীতগণের জন্যে নয়। যারা ধারণা করে যে নিশ্চয় তারা তাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে এবং তারা তারই দিকে প্রতিগমন করবে।” [৮] নামাজ ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মমতাবোধ ফিরিয়ে আনে। গড়ে তোলে সামাজিক ঐক্য। একাগ্র মনে নামাজ আদায়কারী নিজের ও সমাজের কল্যান ব্যতিত কোনো খারাপ কাজ করতে পারে না। এছাড়া নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন: “আর নামায সুপ্রতিষ্ঠিত কর। নিশ্চয় নামায অশালীন এবং অন্যায় কাজ থেকে বারণ করে।”[৯]
খাদ্য ও পানীয় দেহের বৃদ্ধি ঘটায়। আর রূহের বৃদ্ধি ঘটে যখন সে তার স্রষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, রোজা, হজ্ব, জিকির, দু‘আ ও ইবাদতের মাধ্যমে। আর নামাজ হলো আত্মার পরিচর্যার সর্বোত্তম মাধ্যম। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ওপর দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যাতে রূহের সঙ্গে তার রবের যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে এবং তা দুর্বল হয়ে না পড়ে। সাথে সাথে যাতে দেহ তার কামনা ও রিপুসহ ব্যক্তির ওপর বিজয়ী না হয়। আল্লাহ তা‘আলা দেহকে সৃষ্টি করেছেন রূহের একটি বাহন হিসেবে। রূহ যখন মানুষের দেহকে পরিচালনা করে তখন মানুষ সত্যিকার মানুষে পরিণত হয়।পক্ষান্তরে রূহ যখন দেহের অনুগত হয়ে পড়ে মানুষ তখন তার মনুষ্যত্ব থেকে শূন্য হয়ে পড়ে।
পবিত্র কুরআনে নামায
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে নামাযের ব্যাপারে খুবই গুরুত্বারোপ করেছেন এবং নামায ও নামাযীকে সম্মানিত করেছেন।কুরআনের অনেক জায়গায় বিভিন্ন ইবাদতের সাথে বিশেষভাবে নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন:
- “নিশ্চয় নামায মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।” [১০]
- “তোমরা সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে (মাধ্যম) আসরের নামায। আর আল্লাহর সমীপে কাকুতি-মিনতির সাথে দাঁড়াও”। [১১]
- (বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে উদ্দেশ করে বলা হয়)“আমার বান্দাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে নামাজ কায়েম করতে বলুন।”[১২]
আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেন:
- “তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত প্রদান করো, এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।” [১৩]
- ‘ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো ও তোমাদের রবের ইবাদত করো এবং সৎ কাজ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।[১৪]
- ‘আর আপনার পরিবারবর্গকে নামাজের আদেশ দিন এবং আপনি নিজেও এতে অবিচলিত থাকুন।[১৫]
সফলতা ও সম্মানিত স্থান জান্নাতে প্রবেশকে আল্লাহ তা’আলা নামাজের উপরই স্থাপন করেছেন। তিনি বলেন: – মোমিনগণ সফলকাম, যারা তাদের সালাতে নম্রতা ও ভীতির সাথে দণ্ডায়মান হয়। [১৬] ‘সফলকাম ব্যক্তি সে-ই যে পবিত্রতা অর্জন করেছে। আপন প্রতিপালকের নাম স্মরণ করেছে এবং নামাজ আদায় করেছে।’ [১৭]
অতঃপর বলেন: “আর যারা তাদের সালাতে যত্নবান, তারাই জান্নাতের ওয়ারিশ-যারা ফিরদাউসের ওয়ারিশ হবে এবং তথায় তারা চিরকাল থাকবে।[১৮]
নামায পরিত্যাগকারীর জন্য আল্লাহর আযাব অপরিহার্য। ইরশাদ হয়েছে: “অতঃপর তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা নামাজ বিনষ্ট করল এবং কুপ্রত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং তারা শীগ্রই জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে”। [১৯] দোজখের কঠিন শাস্তিতে নিক্ষিপ্তদের সম্পর্কে বলা হয়েছে “কী অপরাধ তোমাদের দোজখে টেনে আনা হলো? তারা উত্তরে বলবে, আমরা মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না তথা নামাজ আদায় করতাম না।” [২০]
হাদীসে নামাজ
আল্লাহর একাত্ববাদ ও হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেসালতের স্বাক্ষ্য দেয়ার পর নামাজ হল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুকন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের পরেই নামাজের কথা উল্লেখ করে বলেন -ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি: ১. এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্যিকার ইলাহ নেই এবং হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত প্রদান করা। ৪. রমজানের রোজা রাখা। ৫. বাইতুল্লাহর হজ্ব করা। [২১]
তিনি আরো বলেন -সবকিছুর মূল হল ইসলাম, আর ইসলামের খুঁটি নামাজ, আর ইসলামের শীর্ষ পীঠ হল জিহাদ। [২২] নামাজ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও সর্বোত্তম আমল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- তোমরা অটুট ও অবিচল থাক, গণনা করো না, আর মনে রাখবে তোমাদের সর্বোত্তম আমল হল নামাজ, একজন মুমিন অবশ্যই সর্বদা অজুর সংরক্ষণ করতে থাকে।[২৩]
নামাজ নূর
যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক আর আলহামদুলিল্লাহ পাল্লাকে সম্পূর্ণ করে, সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পূর্ণ করে। নামাজ নূর-আলো। দান খয়রাত প্রমাণ স্বরূপ। ধৈর্য উজ্জলতা আর কোরআন তোমার পক্ষে প্রমাণ অথবা তোমার বিপক্ষে প্রমাণ।[২৪]
নামাজ আল্লাহর নৈকট্য ও উচ্চ-মর্যাদা লাভের উপকরণ। সাওবান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে এমন আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন যা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, তুমি বেশি করে আল্লাহর জন্য সেজদা-নামাজ আদায় করতে থাক, কারণ তোমার প্রতিটি সেজদার কারণে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তোমার গুনাহ মাফ করবেন। [২৫]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – কে জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর নিকট কোন আমল সবচেয়ে বেশি প্রিয় ? তিনি বলেন-সময় মত নামাজ আদায় করা, আবার জিজ্ঞাসা করা হল তার পর কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন- মাতা পিতার সাথে সদাচরন করা। আবার জিজ্ঞাসা করা হল তার পর কোনটি ? উত্তরে বললেন আল্লাহর পথে জিহাদ করা। [২৬]
এই নামাজ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন — সালাতেই আমার চোখ জুড়ানো ও শীতলতা নিহিত।[২৭] এবং বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন: তুমি নামাজের ব্যবস্থা কর এবং তার মাধ্যমে আমাকে তৃপ্ত কর। [২৮]
নামাজের মাধ্যমে ছগীরা তথা ছোট ছোট গুনাহগুলো হতে পরিত্রাণ লাভ করে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ হয়। হাদীসে এসেছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি তোমাদের কারো (বাড়ীর) দরজার সামনে প্রবাহমান নদী থাকে এবং তাতে প্রত্যেক দিন পাঁচ বার গোসল করে, তাহলে কি তার (শরীরে) ময়লা বাকী থাকবে? (সাহাবীগণ) বললেন, ‘না’। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অনুরূপভাবে আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দ্বারা (বান্দার) গুনাহকে মিটিয়ে দেন’। [২৯] তিনি আরো একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে বলেন, মুসলিম বান্দা যখন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করে তখন তার গুনাহ এমনভাবে ঝরে পড়তে থাকে যেমন এই বৃক্ষের পাতা ঝরে পড়ে। [৩০]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন — যে কোন মুসলমানের জন্য যখন ফরজ নামাজের সময় উপস্থিত হয়, অতঃপর সে সুন্দরভাবে অজু করে এবং সুন্দরভাবে রুকু সেজদা করে, এতে তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। যদি সে কোন কবিরা গুনাহ না করে, আর এভাবে সর্বদা চলতে থাকে।[৩১]
“আপনার পড়া শেষে সাদকায়ে জারিয়ার নিয়তে লেখাটি শেয়ার করুন”
তথ্যসূত্রঃ
১- সূরা যারিয়াত-৫৬)
২- মুসলিম শরীফ)
৩- মুসলিম শরীফ)
৪- বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
৫- হাদীসটি ইমাম আহমাদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন)
৬-তিরমিযি শরীফ:২৭৮)
৭- সূরা বাকারা , আয়াত: ১৫৩)
৮- সূরা বাকারাহ : ৪৫,৪৬)
৯- সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)
১০- সূরা আন নিসা, আয়াত: ১০৩)
১১- সূরা আল বাকারাহ, আয়াত: ২৩৮)
১২- সূরা ইব্রাহিম, ১৪:৩১)
১৩- সূরা বাকারা,আয়াত:৪৩)
১৪- সূরা আল হজ্ব,আয়াত:৭৭)
১৫- সূরা ত্বহা,আয়াতঃ ১৩২)
১৬- সূরা মোমিন,আয়াতঃ ১-২)
১৭- সূরা আলাক, আয়াতঃ ১৪-১৫)
১৮-সুরা মোমিন,আয়াত:৯,১০,১১)
১৯- সূরা মারয়াম, আয়াত: ৫৯)
২০- সূরা আল মুদাসসির, আয়াতঃ৪২-৪৩)।
২১- বোখারি শরীফ: ৭, মুসলিম শরীফ : ১৯)
২২- তিরমিযি শরীফ:৩৫৪১)
২৩- ইবনে মাজাহ শরীফ:২৭৩)
২৪- মুসলিম শরীফ:৩২৭)
২৫- মুসলিম শরীফ:৭৩৫)
২৬- বোখারি শরীফ:৪৯৬)
২৭- নাসাঈ শরীফ:৩৮৭৮)
২৮- আবু দাউদ শরীফ:৪৩৩৩)
২৯- বুখারী ও মুসলিম)
৩০- মুসনাদে আহমদ শরীফ: ২০৫৭৬)
৩১- মুসলিম শরীফ:৩৩৫)
Discover more from RoushanDAlil.com
Subscribe to get the latest posts sent to your email.