মুফতীয়ে আযম শায়খ আল্লামা ফয়য আহমদ ওয়াইসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
- আমর বিন হাজ্জাজ যুবাইদী
এই ব্যক্তি তীব্র গরমের মধ্যে পিপাসার্ত অবস্থায় পালিয়েছিল। পিপাসার দরুণ একপর্যায়ে সে বেহুশ হয়ে পড়ে রইলো। অতঃপর সেই অবস্থায়ই তার শিরোচ্ছেদ করা হল।
- সীমার যিল জুশান
এই পাপিষ্ঠ হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র শাহাদাতের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি অভিশপ্ত এবং দূর্ভাগা ছিল। তাকে হত্যা করে তার লাশ কুকুরের সামনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
- আব্দুল্লাহ বিন উসাইদ জাহ্নামী, মালিক বিন বশীর বদী, হামল বিন মালিক
এদের সবাইকে আটক করা হল। তারা ক্ষমার আবেদন জানালো। মুখতার বলল, হে জালিমরা ! তোমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’র নাতি’র প্রতি সদয় হওনি, তোমাদের উপর কিভাবে সদয় হওয়া যায় ! অতঃপর একে একে সবাইকে হত্যা করা হল। এদের মধ্যে মালিক বিন বশীর হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র টুপি মুবারক ছিনিয়ে নিয়েছিল। তার দুই হাত-পা কর্তন করে খোলা ময়দানে নিক্ষেপ করা হয়। সে ছটফট করতে করতে পরে মারা যায়।
- উসমান বিন খালিদ এবং বশীর বিন সমীত
সে ইমাম মুসলিম বিন আক্বীল রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর হত্যায় সহযোগীতা করেছিল। এই পাপিষ্ঠকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
- আমর বিন সা’দ
সে হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র বিরুদ্ধে সৈন্যদেরকে কমান্ড তথা আদেশ দিত। তাকে হত্যা করে তার মাথা মুখতারের সামনে আনা হল। অন্যদিকে মুখতার সেই পাপিষ্ঠ আমরের ছেলে হাফ্সকে পূর্বেই নিজ দরবারে বসিয়ে রেখেছিল। যখন এই কর্তিত মাথা মজলিশের মধ্যে আনা হল তখন মুখতার হাফসকে বলল, “তুমি কি জানো এই মাথা কার?” সে বলল , ‘হ্যা’ এটা দেখার পর আমিও আমার জীবন চাই না।” অতঃপর তাকেও হত্যা করা হল। শেষে মুখতার বলল যে, “আমর বিন সা’দ এর হত্যা তো ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র বদলায় এবং হাফস এর হত্যা আলী আসগর বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র বদলায়।”
- হাকীম বিন তুফাইল
সে হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে লক্ষ্য করে তীর মেরেছিল। প্রতিশোধ স্বরুপ তার দেহকে তীর দ্বারা ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। এবং এতেই সে ধবংস হয়।
- যায়েদ বিন রিফাদ
সে হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র ভাতিজা এবং মুসলিম বিন আক্বীল এর শাহজাদা(সন্তান) হযরত আব্দুল্লাহকে তীর মেরেছিল। হযরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তখন হাত দ্বারা তাঁর কপাল রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। তীর হাত ভেদ করে কপালে লাগলো; এতে তাঁর হাতটিও কপালের সাথে আহত হল। সেই রিফাদকে আটক করে প্রথমে তাকে তীর নিক্ষেপ, পরে পাথর নিক্ষেপ করা হল। অতঃপর জীবন্ত পুড়ে ফেলা হল।
- সিনান বিন আনাস
সে হযরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র মাথা মুবারক কর্তনে অগ্রসর হয়েছিল। কুফা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। এরপরে তার ঘর ধবংস করে দেওয়া হয়।
- ফয়সালা
হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র হত্যাকারীদের এই দৃষ্টান্তমূলক পরিণতি জানতে পেরে মনের অজান্তে এই আয়াতে কারীমা জবানে চলে আসল,
كذلك العذاب ولعذاب الآخرة أكبر
অর্থাৎ শাস্তি এমনই হয়ে থাকে এবং আখিরাতের শাস্তি এর চেয়েও ভয়াবহ। [সূরা ক্বলম,আয়াত-৩৩]
টীকাঃ
আখিরাতে তো সবাই এটা প্রত্যক্ষ করবে যে, এ সকল জালিমদের হাশর কেমন হবে। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা দুনিয়াতেই কিছু দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দিলেন।
ইয়াজিদ সৈন্যদের উপর দুনিয়াবী শাস্তির তালিকা
- জালিমদের সৈন্যবাহিনীতে (হলুদ রঙের) যে ঘাস প্রথম থেকে রাখা হয়েছিল, তা পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। [পূর্বেকার সময়ে এক ধরনের হলুদ রঙের ঘাস ছিল, যা যুদ্ধাহতদের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হত- অনুবাদক]
- এই জালিমরা তাদের মধ্যে একটি উষ্ট্রী যবেহ করলো, তখন তারা সেই গোশতের মধ্যে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হতে দেখলো।
- যখন উষ্ট্রীর গোশত রান্না করা হল, তখন তা তিক্ত বিষে পরিণত হয়ে গেল।
- এক লোক হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র শানে বেয়াদবীপূর্ণ কথা বলেছিল। তখন মহা পরাক্রমশালী খোদায়ে জাব্বার ওয়া কাহহার তার উপর আসমানী তারকারাজির দুইটা স্ফুলিঙ্গ ছুঁড়লেন, যার দ্বারা তার দৃষ্টিশক্তি চলে যায়।
টীকাঃ
সাইয়্যেদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ইয়াজিদের হীন কর্মকান্ডের কারণে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। নিজ, নিজের বংশধর এবং সৈনিকগণ আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়েছেন, কিন্তু অপরদিকে ইয়াজিদের শেষ পরিণতি হল বরবাদী তথা ধবংস।
- হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর শাহাদাত পরবর্তী সময়
সাইয়্যেদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র শাহাদাতের পর খবীস ইয়াজিদের জন্য আরাম আয়েশের দরজা খুলে গেল। জিনা, হারামখোরী ও মদ্যপান উন্মুক্ত হয়ে গেল এবং সে নিজ নাফরমানীতে এতটাই মত্ত হয়ে গেল যে, সে মুসলিম বিন উকবাকে বার হাজার(১২,০০০) সংখ্যক সৈন্যসহ মদিনায়ে তৈয়্যেবা’র ধবংসের জন্য প্রেরণ করলো। ৬৩ হিজরীর ঐ সময়ে ইয়াজিদ বাহিনী মদীনা শরীফে এসে চরম মাত্রায় অসভ্যতা করা শুরু করলো।
ঐ পথভ্রষ্ট সৈন্যরা সাতশো’র মত সম্মানিত সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম’কে শহীদ করলো এবং তাঁদের সাথে আরও দশ হাজার সাধারণ মানুষদেরকেও শহীদ করলো। অসংখ্য কিশোরী এবং মহিলাদেরকে বন্দি করলো এবং অন্যান্য ঘরের সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা’র ঘরেও লুটতরাজ চালালো। মসজিদে নববী’র খুঁটি’র সাথে ঘোড়া বেঁধে রাখলো এবং এই পবিত্র মসজিদকে ঘোড়ার পেশাব-পায়খানা দ্বারা অপবিত্র করে দিল। যার কারণে মুসলমানরা এই মসজিদে তিন দিন পর্যন্ত নামায আদায় করতে পারেননি। মোদ্দাকথা হল যে, ঐ ইয়াজিদী সৈন্যরা সেখানে এমন অবস্থা সৃষ্টি করলো, যা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন হানযালা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন যে, “মদিনা শরীফে ইয়াজিদী সৈন্যরা তখন এমন খারাপ এবং ক্ষমার অযোগ্য কর্মকান্ড করেছিল, যার ফলে আমরা আশংকা করেছিলাম যে, তাদের হীন কর্মের জন্য না আবার আকাশ হতে(গযব স্বরুপ) পাথর বর্ষণ হওয়া শুরু করে।”
অতঃপর সেই সৈন্যরা মক্কা মুকাররমার দিকে রওয়ানা হয়। সেখানে গিয়েও ইয়াজিদী সৈন্যরা অনেক সাহাবায়ে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম’কে শহীদ করে। খানায়ে কা’বার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করলো, যার ফলে তাওয়াফের স্থানটি পাথর দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে গেল। এতে করে মসজিদুল হারামের কয়েকটি খুঁটিও ভেঙ্গে পড়লো। সেই জালিমরা কা’বা শরীফের গিলাফকেও তাঁর ছাদ পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিল। যার ফলশ্রুতিতে মক্কায়ে মুয়াজ্জামা কয়েকদিন পর্যন্ত গিলাফহীন থাকে। ইয়াজিদ এই জুলুম এবং সীমালংঘন করতঃ তিন বছর সাত মাস পর্যন্ত সাম্রাজ্য পরিচালনা করে এবং পরিশেষে ১৫ ই রবিউল আউয়াল ৬৪ হিজরীতে শাম দেশের এক শহর হামাসে উনচল্লিশ(৩৯) বছর বয়সে মারা যায়। [আল্লাহ তা’আলা এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’র অভিশম্পাত ইয়াজিদের উপর -অনুবাদক]
ইয়াজিদের মৃত্যূর পর ইরাক, ইয়েমেন, হেযায এবং খুরাসানবাসীরা হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র পবিত্র হাতে এবং মিশর ও শামবাসীরা মুয়াবিয়া বিন ইয়াজিদ(অর্থাৎ ইয়াজিদের ছেলে মুয়াবিয়া) এর হাতে ঐ রবিউল আউয়াল মাসেই বায়’আত গ্রহণ করে। ইয়াজিদের ছেলে হযরত মুয়াবিয়া ভাল এবং সৎকর্মশীল ছিল। এমনকি সে নিজের বাপের কর্মকান্ড ও অভ্যাসকে খারাপ বলে মানতো। দুই-তিন মাস রাজ্য পরিচালনার পরে সেও একুশ(২১) বছর বয়সে ইন্তিকাল করে। তখন মিশর ও শামবাসীরাও হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র পবিত্র হাতে বায়’আত হয়ে নেন। তার কিছুদিন পর মারওয়ান বিন হাকাম আত্মপ্রকাশ ঘটায়। এবং মিশর ও শামের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। অতঃপর ৬৫ হিজরীতে তার ইন্তিকালের পর তার ছেলে আব্দুল মালিক সেই সাম্রাজ্যের অধিপতি হন এবং মুখতার বিন উবাইক সাকাফীকে কুফার গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ দেন। মুখতার কুফার শাসনভার গ্রহণ করার পর আমর বিন সা’আদ কে নিজ দরবারে ডেকে পাঠায়। এতে আমর বিন সা’আদ এর ছেলে হাফ্স হাজির হলো। মুখতার সাকাফী জিজ্ঞাসা করলো, তোমার বাবা কোথায় ? সে বলল, নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। একথা শুনে মুখতার রাগান্বিত হয়ে বলল যে, হযরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র শাহাদাতের দিন সে কেন নিখোঁজ হয়নি। যেই সাম্রাজের লোভে সে আওলাদে পয়গাম্বরের(নবী বংশ) সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, এখন তোমাদের সেই ইয়াজিদী সাম্রাজ্য কোথায় গেল ?
অতঃপর আমর বিন সা’আদকে ধরে আনার পর মুখতার সাকাফী আমর বিন সা’আদ, তার ছেলে হাফস ও অভিশপ্ত সীমারকে দ্রুত শিরোচ্ছেদের আদেশ দিল। এমতবস্থায় তাদের শিরোচ্ছেদ করে ইমাম আলী মাক্বাম এর ভাই হযরত মুহাম্মদ বিন হানফিয়্যাহ আলভী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র(যিনি হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র বৈমাত্রেয় ভাই) নিকট মদিনা শরীফে পাঠালো। এরপর ঘোড়া অভিশপ্ত সীমার এর লাশের উপর দৌড়িয়ে খন্ড বিখন্ড করে দিল। (উল্লেখ্য যে) এই অভিশপ্ত সীমার ইমামে আলি মাক্বাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র হত্যাকারী এবং আমর বিন সা’আদ সেই ইয়াজিদী সৈন্যবাহিনীর কমান্ডার তথা সেনাপতি ছিল।
- বীরত্ব
মুখতার সাকাফী আদেশ জারী করলো যে, “যে সকল লোক কারবালার ময়দানে জড়িত ছিল, তাদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা কর।” একথা শুনতেই কুফার লোকজন(অর্থাৎ কুফায় অবস্থানরত ইমাম হুসাইনের শাহাদাতে শরীক ব্যক্তিরা) বসরার দিকে পলায়ন শুরু করল। এ খবর পাওয়া মাত্রই মুখতারের সৈন্যবাহিনী পিছু নিতে নিতে যাকে যেখানে পেল সেখানেই হত্যা করলো। খাওলা বিন ইয়াজিদকে জীবিত আটক করে মুখতার সাকাফী’র সামনে আনা হল। মুখতার আদেশ দিল যে, তার চার হাত-পা কেটে শূলে লটকিয়ে দাও এবং তারপর তার লাশকে আগুনে জ্বালিয়ে দাও।
এমনিভাবে আহলে বাইতের সকল হত্যাকারী যাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার, মুখতার তাদেরকে বিভিন্ন শাস্তি দিয়ে ধবংস করে দেয়। যখন সকল আহলে বাইতের দুশমনদের হত্যা শেষ হল, এখন আসলো ইবনে যিয়াদের পালা। সে কারবালার ঘটনার সময়ে কুফার গভর্ণর ছিল। সে প্রায় ত্রিশ হাজার সংখ্যক সৈন্যসহ (আরেক শহর) মসুলের দিকে রওয়ানা হচ্ছিল। এ সংবাদ পেয়ে মুখতার সাকাফী ইবরাহীম বিন মালিক আশতারকে সৈন্যসহ ইবনে যিয়াদকে প্রতিরোধের জন্য প্রেরণ করলো। মসুল শহর হতে পনেরো(১৫) কোষ দূরে ফোরাত নদীর তীরে দুই পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে সারাদিন যুদ্ধ অব্যাহত থাকল। পরিশেষে সন্ধ্যার দিকে মুখতার বাহিনী ইবনে যিয়াদের সৈন্যবাহিনীকে পরাজিত করতে সমর্থ্য হল। অতঃপর ইবনে যিয়াদ যুদ্ধের ময়দান হতে পালানোর চেষ্টা করতে লাগলো।
[পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মুখতার সাকাফী প্রথম অবস্থায় মু’মিন থাকলেও তার শেষ জীবনে সে মুরতাদ হয়ে যায়। এবং মুরতাদ অবস্থায়ই সে মারা যায়।– ফয়জ আহমদ ওয়াইসি]
- গণহারে হত্যা
ইবরাহীম আশতার তখন নিজের সৈন্যদেরকে আদেশ দিল যে, যে দুশমন সামনে আসবে তার গলা আলাদা করে ফেলবে। এমতাবস্থায় তার সৈন্যবাহিনী ধাওয়া করতে করতে অনেক দুশমনকে মৃত্যূর ঘাটে পৌঁছে দেয় এবং ঐ পরিস্থিতিতে ইবনে যিয়াদও ১০ মুহাররম ৬৭ হিজরীতে ফোরাতের মূল তীরে ঠিক ঐ দিন ঐ স্থানেই মারা গেল, যেখানে কিনা এই জালিম বদকারীর হুকুমে ইমামে আলী মাক্বাম ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’কে শহীদ করা হয়েছিল।
চলবে…………
[মুফতীয়ে আযম শায়খ আল্লামা ফয়য আহমদ ওয়াইসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র লিখিত ”ইয়াজিদ গাজীয়ো কে আঞ্জামে বদ্” কিতাব হতে লেখাটি অনূদিত]
ভাষান্তরঃ মুহাম্মদ মহিউদ্দীন।
Discover more from RoushanDAlil.com
Subscribe to get the latest posts sent to your email.