প্রফেসর ড. আল্লামা মাসঊদ আহমদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
ভাষান্তরঃ মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বপ্রথম নূরে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টি করেন।[১] আর তাঁকে নবুওয়াত দ্বারা মহিমান্বিত করেন।[২] দরূদ-সালাম পাঠের ধারাবাহিকতা শুরু হয়ে যায়… ফেরেশ্তাকুল সৃষ্টি হলে তারাও এই দরূদ-সালাম পাঠে অংশগ্রহণ করে, আর যখন সেই নূর দুনিয়ায় তাশরীফ আনলেন [৩] তখন মানবকুলও তাতে অংশ নিল।[৪] বিবেকবান যদি বুঝে তাহলে সহজেই বুঝে নিবে যে, এটাও তাঁর শুভাগমনের খুশি উদ্যাপনেরই অংশ… আল্লাহু আকবর ! সৃষ্টির শুরু থেকেই তাঁর আলোচনা তথা মিলাদ হয়ে আসছে এবং খুশি উদ্যাপন চলে আসছে … স্বীয় প্রিয় মাখলুকের প্রতি আল্লাহর ভালবাসা সীমাহীন, তাঁর নিশানসমূহকে স্বীয় নিশান বানিয়ে দেন।[৫] আর তাঁর (নিদর্শন) প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দেন [৬] … তাঁর স্মৃতিময় দিনগুলোকে নিজের স্মরণীয় দিন বলে ঘোষণা দেন।[৭] আর ইরশাদ করেন – আর তাদেরকে আল্লাহর দিনসমূহ স্মরণ করিয়ে দাও।[৮] আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের শুভাগমনের দিনগুলোও আল্লাহর দিনসমূহের অন্তর্ভূক্ত… বেলাদত শরীফ তথা শুভাগমনের দিনসমূহের গুরুত্ব কুরআন পাক হতেই অনুধাবন করা যায়… হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালামের প্রতি ইরশাদ করা হয়- এবং শান্তি তারই উপর যেদিন জন্মগ্রহণ করেছে।[৯] হুযুর আনওয়ার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনে দুনিয়া আলোকিত হয় সোমবার দিন, তিনি নিজের তার শুভাগমনের এই দিনে রোযা রাখতেন, এ ব্যাপারে (সোমবারের রোযা) যখন জিজ্ঞেস করা হল তিনি ইরশাদ করেন… এই দিন আমার শুভাগমন ঘটে আর এই দিনেই আমার উপর প্রথম অহী অবতীর্ণ করা হয়।[১০] নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমন আরবী মাসের রবিউল আওয়ালের ১২ তারিখ মোতাবেক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে হয়, যার প্রমাণ তিন চার হাজার বছর পুরনো কিতাবেও পাওয়া যায়।[১১] সুতরাং সোমবার ও ১২ই রবিউল আউয়ালের সাথে হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুসম্পর্ক রয়েছে আর এই সুমহান সম্বন্ধের মাধ্যমেই শ্রেষ্টত্ব লাভ হয়।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন হুযুর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করে আমাদের উপর মহান ইহসান করেছেন আর তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন [১২] আর অনুগ্রহ করত তা এই জন্যে মনে করিয়ে দেয়া হয় যাতে সে অনুগ্রহের কথা মনে থাকে, স্মরণ করা হয়, অকৃতজ্ঞতা না করা হয়… অতঃপর সেই অনুগ্রহের জন্য আনন্দ প্রকাশের হুকুমও দেয়া হয়েছে।[১৩] হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর দরবারে আরজ করেন, হে আল্লাহ, হে প্রতিপালক ! আমাদের জন্য আকাশ থেকে একটা ‘খাদ্য-খাঞ্চা’ অবতারন করুন, যা আমাদের জন্য ঈদ (আনন্দ উৎসব) হবে- আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য।[১৪] এটা অবশ্যই অবাক করার মত ব্যাপার যে, আসমান হতে নি’আমত স্বরূপ খাদ্য আসায় হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তাঁকে ঈদ ঘোষণা করলেন তাহলে জানে নি’আমত তথা নি’আমত হিসেবে আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমনের দিন ঈদ হবে কেন হবে না ? যে রাতে কুরআন অবতীর্ণ হলো সেই রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।[১৫] আর যেইদিন সেই কুরআনের প্রবক্তা নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করলেন সেইদিনের মর্যাদা কি হতে পারে ?
শবে ক্বদর প্রতি বছর পালন করা গেলে ঐ রাত কেন উদ্যাপন করা যাবেনা যেই রাতে দো জাহানের বাদশাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুভাগমন করেন… আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- আর তোমার রবের নি’আমত সমূহের উত্তমভাবে স্মরণ / আলোচনা কর।[১৬] ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করছেন, আর স্বয়ং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই হলেন সবচেয়ে বড় নি’আমত/অনুগ্রহ।[১৭] সুতরাং তাঁর আলোচনা তথা মিলাদ করতে হবে… হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বেলাদত শরীফের বর্ণনা মিম্বরে দাঁড়িয়ে বর্ণনা করেন।[১৮] কতেক সাহাবাকে আদেশ করলেন তারা নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাবলী ও মর্যাদা বর্ননা করেন।[১৯] নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে তাবুক যুদ্ধ হতে ফেরার সময় তাঁর বেলাদতের শানে কবিতা আবৃতি করেন।[২০] হযরত হাসসান বিন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর জন্য তিনি নিজেই মসজিদে নববীর মিম্বরে চাদর বিছিয়ে দেন আর হযরত হাসসান তাতে বসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে কাসীদা পাঠ করেন।[২১] তিনি তার জন্য দু’আ করলেন… এ সকল ঘটনার বর্ণনা হাদীসের কিতাবসমূহে বিদ্যমান ।
প্রসিদ্ধ তাদেঈ হযরত মালিক বিন আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন হুযুর করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুমধুর বাণীসমূহ পড়ে শুনাতেন ও পড়াতেন তখন তা খুবই মর্যাদার সাথে আদবের সাথে গুরুত্ব সহকারে বর্ণনা করতেন।[২২] ঠিক বর্তমান সময়েও এমন মর্যাদাপূর্ণ বর্ণনা আশেকে রাসূল, গোলামে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওলামা-মাশায়েখগণ করে থাকেন । বড়পীর হযরত শায়খ আব্দুল কাদির জ্বিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু প্রতি আরবি মাসের ১১ তারিখ হযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য মাহফিল আয়োজন করে তাঁর সামনে নযর পেশ করতেন।[২৩] আর এই পদ্ধতি আজও অবদি চলে আসছে… ইবনে তাইয়্যিমাহও মিলাদের মাহফিল প্রতিষ্ঠাকারী ও আয়োজক খালিছ ব্যক্তিদের প্রশংসা করে এর সমর্থনে তাদের জন্য নেকী ও সওয়াবের সুসংবাদ প্রদান করেন।[২৪] মিলাদের মজলিশ তথা মাহফিল আয়োজন কোন নতুন প্রথা বা পধতি নয় এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে আর যার মূল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়কালে পাওয়া যায়… হযরত শাহ ওয়ালী উলাহ মুহাদ্দিস দেহলবী আলাইহির রাহমাহ এর সম্মানিত পিতা হযরত শাহ আব্দুর রহীম দেহলবী আলাইহির রাহমা অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমনের দিন ফকীর-মিসকীনদের জন্য ভাল খাবারের আয়োজন করতেন।[২৫] স্বয়ং শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির পুত্র শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির আমল এরূপ ছিল যে, তিনি প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়াল মিলাদুন্নবীর মাহফিল আয়োজন করতেন এতে আলোচনা উপস্থাপন করতেন এবং সকলের মাঝে খাবার ও মিষ্টান্নের বন্টন করতেন।[২৬] হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি নিজেই মক্কা মুকাররামায় মিলাদের মাহফিলে উপস্থিত থাকা অবস্থায় উক্ত মাহফিলে অবিরত নূর বর্ষন হতে দেখেছেন।[২৭] মৌলভী রশিদ আহমদ গঙ্গুহীর সম্মানিত মুর্শিদ হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মিলাদ শরীফের মাহফিলকে নাজাতের উসীলা মনে করতেন আর প্রতি বছর মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়োজন করতেন এবং দাঁড়িয়ে সালাতু সালাম পেশ করতেন।[২৮] মুফতি আজম শাহ মাজহারুল্লাহ দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়াল যথাযথ মর্যাদায় জাঁকজমকভাবে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাহফিল আয়োজন করতেন যা ইশার নামাযের পর হতে ফজর পর্যন্ত চলত , শেষে দাঁড়িয়ে সালাত সালাম পেশ করা হত এবং খাবার-দাবার ও মিষ্টান্নের ব্যবস্থা করা হত।[২৯] সাতশত বছর পূর্বে বিশিষ্ট ওলীয়ে কামেল হাফেজ তক্বীউদ্দীন সুবকী আলাইহির রাহমাহ উলামাদের মাহফিলে উপস্থিত হতেন সেখানে একদিন সেখালের হাসসান খ্যাত ইমাম সুরসুরী আলাইহির রাহমাহর না’তিয়া পাঠ করা হল যাতে যিকরে মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে দাঁড়ানোর আরজ করা হয়, আর উপস্থিত উলামা তা শুনে দাঁড়িয়ে যান।[৩০] সুতরাং দাঁড়িয়ে সালাতু সালাম পেশ করা সালেহীন উম্মতের সুন্নত… হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী আলাইহির রাহমাহ দাঁড়িয়ে সালাত সালাম পেশ করতেন আর এটাকে কবুল হওয়ার মাধ্যম হিসেবে গণ্য করতেন।[৩১]
হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে বিষয়কে মুসলমানগণ উত্তম ও ফজীলতপূর্ণ মনে করে তা আল্লাহর নিকটও উত্তম।[৩২] আর এও ইরশাদ করেন, যে কেউ ইসলামে উত্তম কোন পন্থার প্রচলন করে এর জন্য সে প্রতিদান লাভ করবে আর তাতে আমলকারীদের সাওয়াবও পাবে।[৩৩] নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এও ইরশাদ করেন, প্রতিটি উত্তম অবস্থায় রয়েছে বিরাট প্রাপ্তি।[৩৪] আর তোমরা উম্মতের বৃহত্তর জামাতের অনুসরন কর।[৩৫] সুতরাং হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিলাদ উৎযাপন, এর উদ্দেশ্যে মাহফিল আয়োজন এটা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবা কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, তাবেঈন,তাবে-তাবেঈন ও হকপন্থী উলামাদের আমল হতে সাব্যস্ত ।
ভালোবাসা প্রকাশের ব্যাপারটা এমনই যে, প্রেমিক সর্বদাই মাহবুবের প্রশংসা ও গুণাবলী বর্ণনা করবে আর তাঁর যিকর তথা আলোচনা ও চর্চা শুনতে পছন্দ করবে এমনকি সর্বদা চাইবে যে, প্রতি মুহুর্তে তাঁর যিকর চলতে থাকুক, এমন কোন আশেক বা প্রেমিক দেখা যায় না যে তাঁর প্রিয় মানুষের আলোচনাকারীদের সাথে বিবাদে জড়ায়, তাঁকে ভাল-মন্দ কথা শুনাবে তা অপছন্দ করবে এমনটা নয়, কেননা তা ভালবাসা প্রকাশের বিপরীত কাজ । মূল ব্যাপার হল এই, প্রতি মুহুর্তে প্রতি ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করে যাওয়া। প্রতি বছর রাব্বুল আলামীনের প্রিয় হাবীব সরকারে দো’আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমনের খুশি উদ্যাপন করবে যেমনটি করেছেন ইসলামকে ঔজ্জ্বল্য দানকারী পূর্ববর্তী মুহাক্কিক উলামাগণ। যে খুশি উৎযাপনের সুযোগ দিয়ে আল্লাহ আমাদের ধন্য করেছেন। আমিন, বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালীন !
তথ্যসূত্রঃ
(১) মাদারেজুন নবুওয়ত ১ম খন্ড পৃঃ২ ।, (২) আশ’আতুল লুম’আত ২৭৪ পৃঃ । , (৩) সূরা মায়িদাহ : ১৫, (৪) সূরা আহযাব।, (৫) সূরা বাক্বারা : ১৫৮, (৬) সূরা হাজ্জ্ব : ৩২ , (৭) তাফসীরে খাযিন ও তাফসীরে মাদারিক , (৮) সূরা ইবরাহীম : ৫ , (৯) সূরা মারয়াম : ১৫ , (১০) ইবনে আসীর, আসাদুল গায়াহ ১ম খন্ড ২১-২২ পৃঃ , (১১) ভগবত পুরান , (১২) সূরা আলে ইমরান : ১৬ , (১৩) সূরা ইউনুস : ৫৮ , (১৪) সূরা মায়িদাহ : ১১৪ , (১৫) সূরা ক্বদর : ৩ , (১৬) সূরা দ্বোহা : ১১ , (১৭) সহীহ আল বুখারী ২য় খন্ড ৫৬৬ পৃঃ , (১৮) তিরমিযি শরীফ ২য় খন্ড ২০১ পৃঃ , (১৯) যুরক্বানী,মাওয়াহিব ১ম খন্দ ২৮ পৃঃ , (২০) ইবনে কাসীর, মীলাদে মুস্তফা ২৯-৩০ পৃঃ , (২১) বুখারী শরীফ ১ম খন্ড ৬৫ পৃঃ , (২২) ইক্বামাতুল ক্বিয়ামাহ ৪৪ পৃঃ , (২৩) ক্বুররাতু নাযির ১১ পৃঃ , (২৪) আদ দুররুস সামীন পৃঃ ৮ , (২৫) একতেদাউ সিরাতিল মুস্তাক্বীম ১৭৬-১৭৭ পৃঃ , (২৬) আদ দুররুল মুনযিম ৮৯ পৃঃ , (২৭) ফুয়ুজুল হারমাইন ৮০-৮১ পৃঃ , (২৮) ফায়সালা হাফতে মাসয়ালা মা’আ তা’লিক্বাত ১১১ পৃঃ , (২৯) তাযকেরাতে মাজহার মাসউদ ১৭৬-১৭৭ পৃঃ , (৩০) ইক্বামাতুল ক্বিয়ামাহ , (৩১) আখবারুল আখইয়ার ৬২৪ পৃঃ , (৩২) মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মদ ১০৪ পৃঃ (৩৩) মুসলিম শরীফ ১৮ পৃঃ , (৩৪) মিশকাত শরীফ ১ম খন্ড ৫৮ পৃঃ , (৩৫) মিশকাত শরিফ ১ম খন্ড ৩১ পৃঃ ।
Discover more from RoushanDAlil.com
Subscribe to get the latest posts sent to your email.