সংকলনঃ মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
“আল্লাহর নামে শুরু যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু”
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিহীল কারীম।ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার সময়ে কত রাকা’ত তারাবীহ ছিল; এই প্রশ্নের জবাবের আগে আসুন আমরা সংক্ষিপ্তাকারে জেনে নিই তারাবীহ কাকে বলে ? কোন হাদীসের আলোকে তারাবীহ সুন্নাত ?
তারাবীহ এর পরিচয়
বিখ্যাত হাদীস শাস্ত্রবিদ ইমাম হাফেজ ইবনে হাজর আসকালানী রহমাতুল্লাহি তাঁর বুখারী শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারী’ তে তারাবীহ এর পরিচয় প্রসঙ্গে বলেন –
وَالتَّرَاوِيحُ جَمْعُ تَرْوِيحَةٍ وَهِيَ الْمَرَّةُ الْوَاحِدَةُ مِنَ الرَّاحَةِ كَتَسْلِيمَةٍ مِنَ السَّلَامِ سُمِّيَتِ الصَّلَاةُ فِي الْجَمَاعَةِ فِي لَيَالِي رَمَضَانَ التَّرَاوِيحَ لِأَنَّهُمْ أَوَّلَ مَا اجْتَمَعُوا عَلَيْهَا كَانُوا يَسْتَرِيحُونَ بَيْنَ كُلِّ تَسْلِيمَتَيْنِ
অনুবাদঃ (আরবি শব্দ) তারাবীহ (التَّرَاوِيحُ) যা তারবীহাতুন ( ترويحة) এর বহুবচন, আর তা চার রাকা’ত নামাযের পর একবার বিশ্রাম নেওয়াকে বলে যেমনটি তাসলিমাহ (تَسْلِيمَة) একবার সালাম ফিরানোকে বলে । রমজান মাসের রাতে যে নামায জামাত সহকারে আদায় করা হয় তাকে তারাবীহ বলা হয় । কেননা প্রথমবার যখন সাহাবা কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এই নামাযের উপর ঐকমত্য পোষণ করেন তখন তারা দুই সালাম (চার রাকা’ত) এর পর বিশ্রাম নিতেন ।
সূত্রঃ – ফাতহুল বারী,৪:২৫০, সালাতুত তারাবীহ অধ্যায়, দারুল মা’রেফাহ বৈরুত।
তারাবীহ সুন্নাত
তারাবীহ রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর আমল হওয়া সত্ত্বেও এর প্রতি তাগিদ প্রদানের জন্য মূলত হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা তারাবীহ আদায়ে সরাসরি হুকুম প্রদান করেছেন।শুধু তাই নয় হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর ফযিলতও বর্ণনা করে দেন।এ সম্পর্কে নিম্নে একটি হাদীস শরীফের অবতারণা করা হল।
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ افْتَرَضَ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ، فَمَنْ صَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
অনুবাদঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ্র পক্ষ হতে তোমাদের প্রতি রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে। আর আমি তোমাদের জন্য এতে নামায (তারাবীহ) আদায় করাকে সুন্নাত করলাম । সুতরাং যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের/পূন্যলাভের আশার সাথে রোজা রাখবে ও রাত্রে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তাআলা তার পূর্বের গোনাহ মাফ করে দেবেন।
সূত্রঃ- মুসান্নানফে ইবনে আবী শায়বাহ, ২:২৮৭, মাকাতাবাহ ইমদাদিয়া, হাদীস নং- ৭৭০৫ (মাকতাবা শামেলাহ)
উল্লেখ্য, এই সুন্নাত নামায (তারাবীহ) রোজার ন্যায় রমজান মাসের খাস ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত ।[সংকলক]
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’র তারাবীহ
রমযানের যে তারাবীহ নামায রয়েছে সেটা মূলত হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হতেই এসেছে।অর্থাৎ তারাবীহ নামায পড়ার শিক্ষা স্বয়ং হুজুর পূরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’ই সাহাবায়ে কিরামগণকে দিয়েছেন।এজন্যই তারাবীহ আদায় করা সুন্নাত।এখন প্রশ্ন জাগে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা কত রাকা’ত তারাবীহ পড়তেন ? এর উত্তরের জন্য আমাদেরকে দ্বারস্থ হওয়া লাগবে হুজুরের হাদিসের।তাই আসুন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর হাদিসের আলোকে আমরা এর জবাব জেনে নিই।
প্রথম হাদীস
ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সম্মানিত ওস্তাদ ইমাম আবু বকর ইবনে আবী শায়বাহ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ‘মুসান্নাফে’ বর্ণনা করেন –
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي فِي رَمَضَانَ عِشْرِينَ رَكْعَةً وَالْوِتْرَ
অনুবাদঃ নিশ্চয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে বিশ রাকাত তারাবীহ ও বিতর আদায় করতেন ।
সূত্রঃ- মুসান্নাফে আবী শায়বাহ,কিতাবুস সালাত (كَمْ يُصَلِّي فِي رَمَضَانَ مِنْ رَكْعَةٍ) হাদীস নম্বর-৭৬৯২/৭৫২০, তাবরানী আল মু’জামুল আওসাত-৭৯৮,মু’জামুল কবীর, ১১:৩৯৩ হাদীস-১২১০২, বায়হাক্বী আস সুনানুল কুবরা-৪২৮৬, আলমুনতাখাব মিন মুসনাদি আবদ ইবনে হুমাইদ-৬৫৩/৬৬০।
এই হাদীস সংশ্লিষ্ট আলোচনা
আলোচ্য হাদীসের সনদে ইবরাহীম বিন উসমান আবু শায়বাহ নামক একজন রাবী, যিনি মুহাদ্দিস কেরামগণের মতে দুর্বল । তবে তিনি অতটাও দুর্বল পর্যায়ের নন যে তার বর্ননা ছেড়ে দিতে হবে । কেননা কোন কোন মুহাদ্দিস আবার তাঁকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন ।
- ইমাম শো’বা বিন হাজ্জাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ১৬০ হিজরী) তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
সূত্রঃ- আসকালানী তাহযিবুত তাহযিব, ১:১৩৬, আল মিযযি, তাহযিবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল ১:২৬৮।
- আহলে হাদীস তথা গায়রে মুকাল্লিদদের তথা মাযহাব অস্বীকারকারীদের নীতি হল যে, ইমাম শো’বা ঐ বর্ণনাকারী হতে হাদীস বর্ণনা করেন যিনি উপস্থিত ও তাঁর হাদীস সহীহ হয় ।
সূত্রঃ- শওকানী নায়লুল আওত্বার ১:১৬।
এমনিভাবে যে সকল নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিসে কেরাম বিশ রাকা’ত তারাবীহর বর্ণনা গ্রহণ করেছেন, তাঁদের নিকট তা গ্রহণীয় ছিল নচেৎ তাঁরা এতে একমত হতেন না ।
- ইমাম আদি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আবু শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ব্যাপারে বলেন যে,
له أحاديث صالحة
অনুবাদঃ তাঁর (ইবরাহীম বিন উসমান আবু শায়বাহ বর্ণিত) হাদীস সমূহ যথাযথ।
সূত্রঃ- তাহযীবুল কামাল ১:৩৯৩/ ২:১৫১।
- ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ (উস্তাদ এর উস্তাদ) ইয়াযিদ বিন হারূন রহমাতুল্লাহি আলাইহি, যিনি আবু শায়বার সময়ে বিচারালয়ে তাঁর লেখক ও মুনশি ছিলেন। তিনি তাঁর প্রশংসায় বলেন –
ما قضى على الناس رجل، يعني في زمانه أعدل في قضاء منه
অনুবাদঃ তাঁর বিচারাধীন সময়ে অর্থাৎ তিনি বিচারক থাকাকালীন সময়ে তাঁর থেকে অতি ন্যায়পরায়ন বিচারক কেউ ছিলেন না ।
সূত্রঃ- তাহযীবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল ২:১৫১।
- ইবনে আদি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ব্যাপারে আরও বলেন,
وهو وإن نسبوه إلى الضعف خير من إِبْرَاهِيم بْن أَبي حية
অনুবাদঃ তিনি দুর্বলতার ক্ষেত্রে ইবরাহীম বিন আবী হায়্যাহ হতে উত্তম ছিলেন ।
সূত্রঃ- তাহযীবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল ২:১৫১।
আর ইবরাহীম বিন আবী হায়্যাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর ব্যাপারে ইয়াহিয়া বিন মুঈন বলেন, তিনি নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন এবং বড়ই নির্ভরযোগ্য ছিলেন ।
সূত্রঃ- লিসানুল মীযান, ১:৫২, বর্ণনা নং- ১২৭।
যেহেতু ইবরাহীম বিন আবী হাইয়াহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি নির্ভরযোগ্য ছিলেন, সুতরাং আবু শায়বাহ তাঁর থেকেও অধিক নির্ভরযোগ্য হবেন ।
ইমাম শো’বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস হিসেবে সকলের নিকট গণ্য । তাঁর হাদীস গ্রহণে সতর্কতা ও কাঠিন্যতা দেখার মত । তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি অমুকের বর্ণনা কেন গ্রহণ করেন না ? জবাবে তিনি বলেন, আমি তাঁকে তুর্কি ঘোড়া দৌড়াতে দেখেছি ।
একদা তিনি মিনহাল বিন আমরের ওখানে গেলেন, সেখানে তিনি বাদ্যযন্ত্রের শব্দ পেলেন, অতঃপর সেখান থেকে কোন বর্ণনা গ্রহণ না করেই তিনি ফিরে আসেন ।
হাকাম বিন উতাইবাহ কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি জা’যান হতে বর্ণনা গ্রহণ করেন না কেন ? উত্তরে বলেন, তিনি কথা বেশি বলেন অর্থাৎ বাঁচাল প্রকৃতির ।
হাফেজ জরীর বিন আব্দুল হুমায়দ আল কুফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সিমাক বিন হারব কে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে দেখলে তাঁর থেকে বর্ণনা নেওয়া বাদ দেন ।
সূত্রঃ- খতীব বাগদাদী কৃত আল কাফিয়াহ ফি উলূমির রিওয়ায়াহ, ১০১পৃঃ।
লক্ষ্য করলেই বুঝা সম্ভব যে, এটা কি জরহ (হাদীস নিরীক্ষণ) এর পদ্ধতি ? যার দ্বারা বড় বড় হাদীস বিশারদগণ এই বর্ণনাকারীদের হতে হাদীস গ্রহণ ও শিক্ষা ছেড়ে দিয়েছেন । যদি এই ধরণের নিরীক্ষণের মাধ্যমে বর্ণনাকারী ত্যাগ করা হয় তবে রইল কারা । এই জন্য শুধুমাত্র জরহ দেখেই উত্তেজিত হওয়া উচিত নয় । জেনে নেওয়া উচিত জরহ এর পদ্ধতি কেবল শরয়ী বিধানের ক্ষেত্রেই কঠিন রাখা হয় । আর কাঠিন্যতার জন্য এটা যথেষ্ট নয় বরং আরও কিছু পদ্ধতি যোগ হয় ।
আর তাঁর (আবু শায়বাহ ) থেকে বহু মুহাদ্দিস কেরামগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং নিশ্চুপ থেকেছেন । আর তাঁর মতন ভিন্ন হাদীস ও সাহাবা কেরামের আমলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।
দ্বিতীয় হাদীস
حدثنا أبو الفضل عبيد الله بن عبد الرحمن الزهري , نا محمد بن هارون بن حميد الرازي , نا إبراهيم بن المختار , عن عبد الرحمن بن عطاء , عن ابن عتيك , عن جابر , أن النبي صلى الله عليه وسلم ” خرج ليلة في رمضان فصلى بالناس أربعة وعشرين ركعة ” . وحدثنا ابن حيويه , عن ابن المجلد , وزاد : وأوتر بثلاث
অনুবাদঃ হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র রমজানের এক রাতে বাইরে আগমন করলেন এবং লোকদের ২৪ রাকা’ত (চার রাকা’ত ইশা ও বিশ রাকা’ত তারাবীহ) পড়ালেন । আর ইবনে হাবিয়্যাহ ইবনে মুজাল্লাদ হতে অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন, আর তিন রাকা’ত বিতর পড়ালেন।
সূত্রঃ- আবু তাহির আস সালাফী, আত তাসী’য়ু মিন মাশীখাতিল বাগদাদিয়্যাহ বর্ণনা নং-২৭/২২৩।
তৃতীয় হাদীস
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ خَرَجَ النبي صلى اللَّه عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي رَمَضَانَ فَصَلَّى النَّاسُّ أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ رَكْعَةً وَأَوْتَرَ بِثَلاثَةٍ
অনুবাদঃ হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র রমজানের এক রাতে তাশরীফ আনলেন এবং লোকদের চার রাকা’ত ফরজ, বিশ রাকা’ত তারাবীহ ও তিন রাকা’ত বিতর পড়ালেন ।
সূত্রঃ- তারিখে জুরজান ১:৩১৭/১:২৭৬, বর্ণনা নং-৫৫৬।
চতুর্থ হাদীস
حَدِيثُ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِالنَّاسِ عِشْرِينَ رَكْعَةً لَيْلَتَيْنِ فَلَمَّا كَانَ فِي اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ اجْتَمَعَ النَّاسُ فَلَمْ يَخْرُجْ إلَيْهِمْ ثُمَّ قَالَ مِنْ الْغَدِ خَشِيت أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ فَلَا تُطِيقُوهَا مُتَّفَقٌ عَلَى صِحَّتِهِ
অনুবাদঃ হুযুর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের বিশ রাকা’ত তারাবীহ পড়িয়েছেন। আর যখন তৃতীয় রাত উপস্থিত হল এবং লোকেরা একত্রিত হল তিনি তাঁর হুজরা মুবারক হতে বের হননি। পরবর্তী দিন তিনি ইরশাদ করলেন, আমি আশংকা করছি যে, এটা (তারাবীহ) আবার তোমাদের উপর ফরজ না হয়ে যায় আর তোমরা তা আদায় করতে অক্ষম হয়ে পড়বে।
সূত্রঃ- আসকালানী, আত তালখীসুল হাবীর ২:২১/৫৩, বর্ণনা নং-৫৪০।
পরিশেষে অত্র আলোচনার আলোকে আমরা একথার উপর উপনিত হতে পারলাম যে,হুজুর পূরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ রাকা’ত তারাবীহ আদায় করতেন।এবং হুজুরের অনুসারী হিসেবে সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়ীনে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমও বিশ রাকা’ত তারাবীহ আদায় করতেন।যা কিনা www.roushandalil.com এর তারাবীহ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রবন্ধের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং বুঝা গেল যে, বিশ রাকা’ত তারাবীহ আদায় করাই মাসনূন তথা সুন্নাত।এর বাইরে আট রাকা’ত বা বার রাকা’ত পড়ার কোন সুযোগ নেই।কেননা তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সত্য উপলব্ধির তাওফিক দান করুন।আমিন,বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালিন।
Discover more from RoushanDAlil.com
Subscribe to get the latest posts sent to your email.