প্রিয় নবী সম্পর্কে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন- “হে গায়েবের সংবাদদাতা নবী! নিঃসন্দেহে আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি হাযের নাযের (‘উপস্থিত’ ‘পর্যবেক্ষনকারী’) করে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরুপে এবং আল্লাহ্র প্রতি তাঁর নির্দেশে আহ্বানকারী আর আলোকজ্জলকারী সূর্যরুপে।”
উক্ত আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর পাঁচটি সুন্দর গুনাবলী উল্লেখ করেছেন। যথা- ১। ‘শাহিদ’ তথা হাযের নাযের এবং সাক্ষী; ২। ‘মুবাশ্বির’ তথা মু’মিনগনকে বেহেশতের সুসংবাদদাতা, ৩। ‘নাযীর’ তথা কাফেরদেরকে দোযখের ভীতি প্রদর্শনকারী, ৪। ‘দায়ি’আন ইলাল্লাহ’ তথা আল্লাহ্ পাকের অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারী, ৫। ‘সিরাজাম মুনীরা’ তথা হিদায়তের উজ্জ্বল সূর্যরুপে।
অত্র আয়াতে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর পাঁচটি গুনাবলীর মধ্যে একটি অন্যতম গুন হলো- ‘শাহিদ’ এর অর্থ হচ্ছে ঘটোনাস্থলে প্রত্যক্ষভাবে দেখার সাথে হাযের বা উপস্থিত থাকা। এ দেখা চর্মচক্ষু দ্বারাও হতে পারে বা অন্তরের চক্ষু দ্বারাও হতে পারে। বান্দাহগণ যেখানে অবস্থান করেন, সেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর নযর বা দৃষ্টি রয়েছে। তাই মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর বাণীতে তাঁর হাবীবের হাবীবের নাম মুবারক “শাহিদ” বলে নামকরণ করা হয়েছে।
অত্র কিতাবটিতে এই বিষয়টি কুর’আন-হাদিসের আলোকে দালিলিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পেশ করেছেন বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ডঃ জি এফ হাদ্দাদ দামেশকী। কিতাবটির বাংলা অনুবাদ করেছেন- মুহাম্মদ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন। কিতাবটির আদ্যোপান্ত আপনি মনযোগ দিয়ে পড়ুন এবং অন্য ভাই-বোনদেরকে পড়তে উৎসাহিত করার মাধ্যমে সাদকায়ে জারিয়ার সাওয়াব লাভ করুন। কিতাবটি নিচ থেকে ডাউনলোড করুন ।