মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার
শাহেনশাহে সিরিকোট আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ পেশোয়ারী সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র পীর-মুর্শিদ গাউসে দাওরাঁ, খাজা আবদুর রহমান চৌহ্রভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের হরিপুরস্থ বিখ্যাত চৌহর শরীফ দরবারে আনুমানিক ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর আব্বা ছিলেন দরবারে চৌহর’র মধ্যমনি গাউসে যামান হযরত খাজা ফক্বীর মুহাম্মদ ওরফে খিজিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। হযরত খাজা খিজির আলাইহিস্ সালাম’র সান্নিধ্য ও তাওয়াজ্জুহ্ পেয়ে তিনি অলিগণের শীর্ষস্তরে উন্নীত হয়েছিলেন বলেই ‘খিজিরী’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গভীর রাতে নির্জনে বাঁশি বাজানোর সময়ে কোন এক শুভক্ষণে অলৌকিকভাবে হযরত খিজির আলাইহিস্ সালাম’র বিরল সাক্ষাৎ লাভ এবং এর ফলে, তিনি ইলমে বেলায়ত হাসিল করেছিলেন।
- ত্বরীক্বত জীবনে পদার্পন
হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহির আলাইহি’র বয়স যখন মাত্র সাত কি আট তখন একদিন তাঁর আব্বা ফকির মুহাম্মদ খিজরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন- এক কোষে দুই তরবারী রাখা যায় না। এর পরপরই গাউসে যামান খাজা ফকির মুহাম্মদ খিজিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর এই শিশু সন্তান খাজা চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র জন্য আধ্যাত্মিক আসন (কোষ) খালি করে দিয়ে চিরতরে বিদায় নিলেন। আর সে থেকেই ইয়াতীম শিশু খাজা চৌহরভীর মাথার উপর চৌহর শরীফের যাবতীয় দায়-দায়িত্বের বিশাল বোঝা চেপে বসে।
আব্বা হুজূরের ইন্তিকালের কয়েক দিন যেতে না যেতেই তিনি শুরু করলেন আত্মশুদ্ধির কঠিন রিয়াজত। একাধারে চল্লিশ দিন অনাহারে থেকে এবং প্রতিদিন রক্তবমি করে দেহাভ্যন্তরের অপ্রয়োজনীয় জঞ্জাল বের করে আনেন খোদা সন্ধানী এই বালক। এরপরই রওয়ানা দেন তৎকালীন বিখ্যাত অলীআল্লাহ্ হযরত আখুন শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র সাথে সাক্ষাৎ করতে ছাইদু শরীফের বিখ্যাত দরবারে। হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখে সঙ্গী সাথীরা তাঁকে এই মহান অলীর সাক্ষাতের পরিবর্তে বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য করেছিলেন। আর ঠিক ফিরে আসবার পূর্ব মুহূর্তেই হাজার হাজার মানুষের ভিড় থেকে মাত্র আট বছরের বালক আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’কে খুঁজে বের করে অলৌকিকভাবে সাক্ষাৎ প্রদান করেন হযরত আখুন শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি নিজেই। তিনি শুধু সাক্ষাৎ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, অধিকন্তু সেদিনের সেই শুভক্ষণের এই শিশু খাজা চৌহরভীর উপর সাত আসমান জমিনের আধ্যাত্মিক বোঝা অর্পণ করে দিয়েছিলেন, হাত তুলে দু‘আ করার উসিলা ধরে। ফিরে আসার সময় আখুন শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন- ‘আপনার পীর আপনার রিয়াজতের স্থানে গিয়েই আপনাকে বায়‘আত করাবেন’ সুতরাং সেখানে ফিরে যান।
খাজা চৌহরভী ফিরে আসলেন নিজের আস্তানা শরীফে এবং এর পরই কাশ্মীর থেকে হযরত শাহ্ মুহাম্মদ ইয়াকুব গিনছাতরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁকে খোঁজ করতে করতে চৌহরভী শরীফের আস্তানায় এসে পৌঁছেন এবং কাদেরীয়া তরীক্বায় বায়’আত করিয়ে আবার স্বদেশে ফিরে যান। এভাবে প্রথমে আপন পিতা ফকির মুহাম্মদ, তারপর হযরত আখুন শাহ্ এবং এরপর আপন পীর মুর্শিদ শাহ্ মুহাম্মদ ইয়াকুব রহমাতুল্লাহিম আলাইহি এর ফুয়ূজাত হাসিল করে মাত্র আট বছর বয়সেই একজন মুকাম্মেল আল্লাহর অলীতে উন্নীত হয়ে দরবারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
- যামানার গাউসিয়ত
গাউসে যামান হলো অদৃশ্য আধ্যাত্মিক প্রশাসনের কর্তার পদবী। গাউসে যামান কাকে বলে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া এক ব্যক্তিকে খাজা চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন- ‘গাউসে যামান এমন এক ক্ষমতাধর ব্যক্তি যিনি ঐ যে সামনে একটি তুত গাছ দেখতে পাচ্ছেন একে নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে গাছটি তাঁর কাছে চলে আসতে বাধ্য। খাজা চৌহরভী’র মন্তব্য শেষ হয়নি এখনো, আর সামনের প্রকান্ড তুত গাছটি গোঁড়াসহ খাজা চৌহরভী দিকে আসতে শুরু করলো। এই ঘটনা দেখে প্রশ্নকর্তা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে এবং হুজুর চৌহরভী গাছটিকে লক্ষ্য করে বললেন- কী ব্যাপার আমি তো তোমাকে আসার নির্দেশ দিই নি, যাও যথাস্থানে ফিরে যাও। গাছটিও ঠিক আগের জায়গায় ফিরে গেল তৎক্ষণাৎ। এই ঘটনা দেখে প্রশ্নকর্তা বুঝে নিল, খাজা চৌহরভী শুধু প্রশ্নের উত্তর দিলেন্ না বরং বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনিই যামানার গাউস এর পদে নিযুক্ত অলিকুল সম্রাট।
খাজা চৌহরভী শুধুমাত্র সেই জামানার গাউস ছিলেন্ না বরং হাজার বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গাউসে জামানা’র পদে আসীন ছিলেন। তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব মুহূর্তে একজন তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, হযরত গাউসুল আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র পর তাঁর বিশাল গাউসিয়তের দায়িত্বে অন্য কোন অলী আসীন ছিলেন কিনা? এর উত্তরে খাজা চৌহরভী বলেছিলেন যে, “শাহেনশাহে বাগদাদের পর ঐ আসন দীর্ঘদিন খালি ছিল। অবশেষে আল্লাহ্ পাক এক ইয়াতীম শিশুকে ঐ মর্যাদা দান করেন এবং তিনি এখনো ঐ পদে অধিষ্ঠিত আছেন।” অর্থাৎ পরোক্ষভাবে হযরত চৌহরভী রহমাতুল্লাহি নিজের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন অর্থাৎ উক্ত মর্যাদাপূর্ণ আসনে তিনিই অধিষ্ঠিত ছিলেন সে সময় পর্যন্ত।
খাজা চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর প্রধান খলীফা হযরতুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে একবার বলেছিলেন যে, গাউসে যামান পদটি মূলত: কাদেরিয়া তরীক্বার জন্যই বরাদ্ধ আছে। আমাদের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি পাওয়া না গেলেই এই পদে অন্য তরীক্বার লোক বসানো হবে -যা, আমাদের জন্য বড়ই পরিতাপের কারণ হবে। উল্লেখ্য, তাঁর এই মন্তব্য থেকে বুঝা যায়, হযরত সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পরবর্তিতে উক্ত ‘গাউসে যামান’ পদে আসীন হবেন, কেননা তিনি একদিকে সে সিলসিলায়ে আলিয়া ক্বাদেরিয়ার পরবর্তী সাজ্জাদানশীন ছিলেন এবং বংশীয়ভাবে ছিলেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূরানী আওলাদে পাক-৩৯তম অধ:স্তন পুরুষ।
- দারুল উলূম রহমানিয়া প্রতিষ্ঠা
দ্বীনের প্রকৃত শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সাচ্চা(সত্যকারের)আলেম তৈরি করতে হযরত চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৯০২ সনে প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন দারুল উলূম ইসলামিয়া রহমানিয়া নামক একটি বিশাল মাদরাসা। হাজারা জেলার হরিপুরের কেন্দ্রস্থলে স্থাপিত এই মাদরাসা বর্তমানে সেখানকার শ্রেষ্ঠ দ্বীনী শিক্ষা কেন্দ্রে উন্নীত হয়েছে। পাকিস্তানের বড় বড় আল্লামা মুহাদ্দিস-মুফতীদের অনেকেই উক্ত প্রতিষ্ঠানে দ্বীনী তালিম দিয়েছেন এবং নিয়েছেন। হযরত চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি নিজ কাঁধে করে এই মাদরাসার ছাত্রদের জন্য রান্না করা খাবার পৌঁছে দিতেন প্রতিদিন। মাদরাসার যাবতীয় ব্যয়ভারও বহন করতেন নিজে। পরবর্তীতে তিনি এর দায়িত্ব তুলে দেন হযরত সিরিকোটী হুজুরের কাছে। এরপর এর দায়িত্ব পালন করেন গাউসে যামান আল্লামা তৈয়্যব শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি। আজ প্রায় একশো’ বছর ধরে এটি একটি শ্রেষ্ঠ দ্বীনী শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে উক্ত অঞ্চলকে আলোকিত করে যাচ্ছে।
- একটি বিরল গ্রন্থ রচনা
মাত্র সাত-আট বছর বয়সে বুযুর্গ পিতা খাজা ফক্বীর মুহাম্মদ খিজিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে হারাতে না হারাতেই দরবারের দায়িত্ব কাঁধে ওঠার কারণে শুধুমাত্র কোরআনে করীমের তিলাওয়াত ছাড়া অন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন খাজা চৌহরভী। অথচ, আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল এই যে, তাঁর জীবনে দেখা গেছে- অনেক জটিল কঠিন শরীয়তের মাসআলা-মাসায়েল’র উত্তর তিনি অনায়াসেই দিয়ে দিতেন কখনো কখনো। শুধু তাই নয়, জীবন সায়াহ্নে এসে সবার অগোচরে এমন একটি বিশাল এবং বিরল ও অদ্বিতীয় কিতাব রচনা করেছিলেন যা প্রকাশ হবার পর রীতিমত হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল আলেম সমাজে। তাঁর এই গ্রন্থটি ছিল উচ্চাঙ্গের ভাষার অলঙ্কার সমৃদ্ধ আরবী ভাষায় রচিত এবং কোরআনে করীম ও বুখারী শরীফের আদলে ৩০ পারা বিশিষ্ট। হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র সমগ্র জীবন দর্শন ও শরীয়ত-তরীক্বত-হাক্বীক্বত-মা‘রিফাতকে তাঁর শানে দরূদ-সালাম’র আকারে গ্রন্থিত এই বিশালকার কিতাবটির নাম হলো মাজমু‘আয়ে সালাওয়াতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যা তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব মুহূর্তে লিখা সমাপ্ত করে রেঙ্গুনে হযরত সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র কাছে পাঠানো হয় ছাপানোর দায়িত্ব দিয়ে।
১৯২৪ সনের ১ যিলহজ্ব (১৩৪২ হিজরী) খাজা চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র ওফাতের পর হতেই এর ছাপানোর কাজ শুরু হয় এবং কয়েক হাজার টাকা ব্যয়ে রেঙ্গুনের ‘আনজুমান-এ-শুরায়ে রহমানিয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় লাহোর থেকে ১৯৩৩ সনে প্রথম প্রকাশিত হয়। ইতোমধ্যেই এই গ্রন্থটির উর্দূ অনুবাদ পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং এর বাংলা অনুবাদও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে কাজ চলছে(ইতমধ্যে ৮ খন্ড পর্যন্ত বাংলায় বের হয়েছে)। তাছাড়া আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ এই গ্রন্থের উপর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার কাজও শুরু হয়ে গেছে দেশ ও বিদেশে- যা একদিন হযরত খাজা চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র ইলমে মা‘রিফাতকে বিশ্বময় তুলে ধরার জ্বলন্ত উৎস হিসেবে গণ্য হবে ইনশা’আল্লাহ।
- উপসংহার
আধ্যাত্মিকতার এত উচ্চাসনে আসীন এই মহান ব্যক্তিত্ব খাজা চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সহজ-সরল সুন্নাতী জীবন আচারের সুস্পষ্ট প্রতীক। নিরহঙ্কার, নির্লোভ এবং আমিত্বহীন জীবন যাপনের কারণে তাঁকে খুব সহজে একজন বুযুর্গ হিসেবে সনাক্তকরণ ছিল প্রায়ই অসম্ভব। নিজ হাতেই দরবারের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পাদন এবং আগত ভক্তদের মেহমানদারী করতেন। তাঁর ছিল না কোন বিশেষ গদি বা আসন। একবার তাঁর এক শাহ্জাদা অন্যদের প্ররোচনায় জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তাঁর পরে গদিতে কে বসবেন? আর এ কথা শুনে অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে হযরত খাজা চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উত্তর দিয়েছিলেন যে, গদিতে তো গাধাই বসে, আর আমি বসি চাটাইতে। তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতেন, যেন তাঁর দরবারে শুধু গরীব লোক এবং আলেম-ওলামাদের আগমন ঘটে। আরো ফরিয়াদ করতেন, যেন তাঁর জীবদ্দশায় কেউ তাঁকে চিনতে না পারে। প্রকৃত অর্থে তাই বাস্তব হয়েছে হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র ক্ষেত্রে। তাঁর বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার কথাগুলো বিশেষতঃ কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন সত্ত্বেও ৩০ পারা কিতাব লিখার বিষয়টি পর্যন্ত তাঁর ইন্তিকালের পরেই লোকজন জানতে পেরেছিল।
তাঁর ছিল অসংখ্য কারামাত। সমগ্র জীবনের কোথাও কেউ সুন্নাতের খেলাফ কোন কাজ বা আচরণ তাঁর মধ্যে দেখেন্ নি। তিনি মানবসেবাকেই বড় দায়িত্ব মনে করতেন এবং নিজে নিজে খোদাকে তালাশ করার চেয়ে মানুষের মধ্যে খোদাভীতি সঞ্চারের কাজকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। এই কারণেই, হযরত সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি যখন পাহাড়ে জঙ্গলে গিয়ে রিয়াজত করার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি তা অনুমোদন করেননি বরং বলেছিলেন নির্জনে খোদা তালাশের চেয়ে লোকালয়ে দ্বীনের জন্য কাজ করা অনেক বেশি উত্তম। তাই আজ তাঁর এই সিলসিলাহর মিশনের কারণে দুই হাজার মাইল দূরের এই বাংলাদেশ পর্যন্ত আলোকিত হয়ে গেছে- তাঁর পরবর্তী উত্তরসূরি শাহেনশাহে সিরিকোট, গাউসে যামান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হুযূর কেবলা সৈয়্যদ মুহাম্মাদ তাহের শাহ্ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী’র হাতে।
Discover more from RoushanDAlil.com
Subscribe to get the latest posts sent to your email.