সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের। অসংখ্য দরুদ ও সালাম প্রিয় নবীজীর নূরাণী রওযা শরীফে। আলহামদুলিল্লাহ! রমযান আগত। রমযান মাসে বাকী ১১ মাসের চেয়ে স্বতন্ত্রভাবে কিছুটা ইবাদত বন্দেগী বেশি করতে হয়। যেমনকিনা- রোযা,সাহরী,ইফতার,তারাবীহসহ ইত্যাদি ইবাদাত। এ সকল ইবাদত পালন করতে গিয়ে নানা সময়েই আমরা ছোট-খাট বিভিন্ন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দের সম্মুখীন হই। তাই আমরা হাজির হয়েছি রমযান সম্পর্কিত এমন ১৬টি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে। যে প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন আমরা রমযান মাসে হতে পারি বা হয়েছি। নিম্নে তা প্রদত্ত হল এবং এ সংক্রান্ত আরো প্রশ্ন দ্বারা ভবিষ্যতে এই বিভাগটিকে সম্প্রসারিত করা হবে। ইনশা’আল্লাহ
প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, উপমহাদেশ তথা এশিয়াখ্যাত শ্রেষ্ঠ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া এর ফিক্হ বিভাগের অধ্যাপক শায়খ আল্লামা মুফতী সৈয়্যদ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান সাহেব দামাত বারাকাতাহুমুল আলীয়া।
১ – প্রশ্নঃ রোযা শব্দের অর্থ কি ? বর্তমানে আমাদের সমাজে দেখা যায় পুরুষ/মহিলারা রোযা রেখে অশ্লীলতায় ভরপূর বিভিন্ন ছায়াছবি/গেইম/টিভি ইত্যাদির মাধ্যমে ইফতারের আগ পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করে। এভাবে যারা রোযা রাখে তাদের হুকুম কি? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তরঃ রোযা শব্দটি ফার্সী, যার অর্থ উপবাস। আরবীতে একে ‘সাওম’ বলা হয়। ‘সাওম’ অর্থ বিরত থাকা। আর শরীয়তের পরিভাষায় সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইবাদতের নিয়তে পানাহার এবং যৌন মিলন থেকে বিরত থাকাকে ‘রোযা’ বলে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এ সময় হায়েজ-নেফাস থেকে মুক্ত থাকা শর্ত। রোযা থাকা অবস্থায় অশ্লীল ছায়াছবি, নাটক, গেইম ইত্যাদি দেখা এবং বেহুদা কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে রোযা নষ্ট হবেনা কিন্তু এ সমস্ত কাজ রোযাকে মাকরূহ করে ফেলে।
২ – প্রশ্নঃ শবে কদরের রাতে বিতরের নামায কদরের নামাযের আগে নাকি পরে আদায় করবো? কোনটি উত্তম পন্থা ?
উত্তরঃ যেহেতু রমজান মাসে এশা ও তারাবীহ’র নামায জামা’আত সহকারে আদায়ের পর জামাত সহকারেই বিতির আদায় করা মাসনূন বা সুন্নাত। সেহেতু জামা’আত সহকারে তারাবীহ’র পর আদায় করাই উত্তম। আর লায়লাতুল কদরের নফল নামাযসমূহ বিতর নামাযের আগে বা পরে উভয় সময় পড়া যাবে।আগে বা পরে উভয় সময় পড়া যাবে। – (ফতোয়া খানিয়া, দূররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার ও গুনিয়াতুত্ তালেবীন ইত্যাদি)
৩- প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় প্রাকৃতিক হাজত শেষে পানি দ্বারা পায়ুপথ ভালভাবে ধৌত করলে রোযার কোন ক্ষতি হবে কিনা ?
উত্তরঃ রোযা অবস্থায় শৌচকার্যকালে মলদ্বারের অভ্যন্তরে পানি পৌঁছলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তাই রোযা অবস্থায় পায়খানা প্রসাব থেকে পরিষ্কারকালে অধিক সতর্কতা প্রয়োজন। এ কারণে ফকীহ্গণ বলেছেন যে, পায়খানা করার সময় কারো পায়খানার রাস্তা বেরিয়ে এলে পরিষ্কার করার পর কাপড় দ্বারা তা মুছে নিবে যাতে পানির বিন্দুমাত্র বাকী না থাকে। যদি কিছু পানি অবশিষ্ট থাকে আর দাঁড়ালে পানি ভিতরে ঢুকে যায় তবে, রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তাই রোযাদার শৌচকার্য করার সময় যেন নিঃশ্বাস না টানে। কারণ এতে মলদ্বারে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা বিদ্যমান। সুতরাং পায়খানা থেকে পরিষ্কার হওয়ার সময় রোযাদারের অধিক সতর্কতা প্রয়োজন। রোযা অবস্থায় পায়খানা করার পর এমনভাবে পানি দ্বারা মলদ্বার ধৌত করবে যাতে, পরিষ্কার হয়ে যায়। তার চেয়ে অতিরিক্ত করবে না। যেন রোযাতে খলল ও অসুবিধা না হয়। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া)
৪- প্রশ্নঃ রাতে যে খাটে ঘুমায় তাতে যদি কখনো স্বপ্নদোষ হয় আর যদি বিছানায় কোন নাপাকি না লাগে তবে ঐ বিছানার উপর নামায পড়ার হুকুম কি? বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তরঃ যদি কাপড়ে বা শরীরে এক দেরহামের অধিক পরিমাণ “নাজাসাতে গলীজা” তথা পায়খানা-প্রসাব, মনি-মজি-অদি, হায়েজ-নেফাসের রক্ত ইত্যাদি লেগে যায় তাহলে তা পরিষ্কার করা ফরজ। পবিত্র করা ব্যতিরেকে নামায পড়লে নামায হবে না। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে শুনে পড়ে নেয় তবে গুনাহ্গার হবে। আর যদি হালকা বা গুরুত্বহীন মনে করে কুফরী। আর যদি নাপাকি দিরহাম পরিমাণ হয় তাহলে তা পরিষ্কার করা ওয়াজিব। পাক করা ব্যতিরেকে নামায পড়লে নামায মাকরূহে তাহরীমী হবে। এ অবস্থায় নামায পড়লে নামায পুনরায় পড়া ওয়াজিব। আর এক দিরহামের চেয়ে কম পরিমাণ হলে পাক করা সুন্নাত। পাক বিহীন নামায পড়লে নামায হবে তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে এবং তা পুনরায় পড়া উত্তম। আর নাপাকি না লাগলে বা না থাকলে তাতে নামায পড়লে কোন অসুবিধা নেই। – (কিতাবুল আশবাহ্ ও গমজু উয়ূনিল বসায়ের)
৫ – প্রশ্নঃ ই’তিকাফের নিয়ত না করে মসজিদে ইফতার করা জায়েয কি?
উত্তরঃ রমজান মাস বা যে কোন রোযায় সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ইফতার করা সুন্নাত। তাই তা ইবাদত হিসেবে মসজিদের বারান্দায় ইফতার করাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে মসজিদের পবিত্রতার প্রতি অবশ্য বিশেষ খেয়াল রাখবে। যেন ইফতার সামগ্রীর দরুন মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট না হয়। আর ইফতার করাকালীন মসজিদে বসে দুনিয়াবী অনর্থক কথাবার্তা বলবে না বরং যিকির আযকার, দোয়া দরূদ ইত্যাদি পাঠের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করবে।
৬- প্রশ্নঃ নফল ইবাদতের আগাম নিয়ত করা জায়েয কি? তা পূরণ করতে না পারলে কাজা করতে হবে কি?
উত্তরঃ নফল ইবাদতের আগাম নিয়ত করা জায়েয তবে কোন নফল নামায বা রোযা আদায় করা কালে মাঝখানে কোন কারণে তা ভঙ্গ করা হলে তা পরে আদায় করা ওয়াজিব।
৭- প্রশ্নঃ মহিলারা ঋতুস্রাবের কারণে যদি রমজান মাসে রোযা না ভাঙ্গার জন্য ঔষধ সেবন করে ঋতুস্রাব বন্ধ রাখে সেটা কি গুনাহ্? কিন্তু অনেক হুজূরদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, গুনাহ্ হবে। এখন কোনটি সঠিক বিস্তারিত প্রকাশে উপকৃত হবো।
উত্তরঃ প্রাপ্ত বয়স্কা মহিলাদের প্রতিমাসে ঋতুস্রাব হওয়াটা খোদায়ী সৃষ্টিগত নিয়ম। যেকোন কারণে ঔষধ সেবন করে তা বন্ধ রাখা শরয়ী নিয়মের যেমন খেলাফ, তেমনি শারীরিক দিক দিয়েও তাতে ক্ষতির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঋতুস্রাবকে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে বন্ধ রাখাটা নিজের উপর জুলূমের শামিল। যেহেতু ঋতুস্রাবের কারণে রোযা রাখতে না পারলে পরবর্তী তা কাজা আদায় করার বিধান শরীয়তে রয়েছে। সুতরাং রোযা রাখার জন্য অহেতুক ঋতুস্রাব বন্ধ রেখে নিজের শরীরে জুলূম করা শরীয়তে সমর্থিত নয়। তাই তা না করাই শরীয়ত ও শারীরিক উভয়দিক দিয়েই কল্যাণকর। তবে কেউ করে থাকলে রোযা আদায় হয়ে যাবে।
৮- প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় মুখ ভরে থুথু আসলে, তার সম্পর্কে কি বিধান ?
উত্তরঃ রোযা অবস্থায় মুখে থুথু জমা করে গিলে ফেলা মাকরূহ। রোযা ছাড়াও এটা অপছন্দনীয় কাজ। সুতরাং মুখ ভরে থুথু আসলে তা গিলে ফেলবেননা। বরং ফেলে দিবেন। এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। – (আলমগীরী)
৯- প্রশ্নঃ রোযাদার ব্যক্তি পানিতে বায়ু ছাড়লে রোযা নষ্ট হবে কিনা জানালে উপকৃত হব।
উত্তরঃ রোযাদার ব্যক্তি পানিতে বায়ু বের করাতে রোযা নষ্ট হয়না, কিন্তু এটা করা মাকরূহ। – (আলমগীরী)
১০- প্রশ্নঃ একটি রোযা ভঙ্গ করলে (রমজানের) তাতে কাফ্ফারা দিতে হবে কি? এর কাফ্ফারা কি? বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তরঃ ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ রমজানের রোযা রাখার পর বিনা কারণে ভঙ্গ করলে কাযা ও কাফ্ফারা আদায় করা বাধ্যতামূলক।
রোযার কাযা হল- একটি রোযার বিনিময়ে একটি রোযা রাখা। আর কাফ্ফারা হল- এক নাগারে লাগাতারভাবে ষাটটি রোযা রাখা। কাফ্ফারা আদায়ে শারীরিক সামর্থ না থাকলে ষাটজন মিসকীন বা অভাবীকে দুই বেলা পেট ভরে আহার করানো বা তৎপরিবর্তে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। – (ফিক্হ আলাল মাযাহিবিল আরবা)
১১ – প্রশ্নঃ আমার উপর যখন রোযা, নামায ফরজ হয়েছিল তখন আমি ১০ বছর, এগুলো আদায় করিনি। এখন কিভাবে আদায় করব, জানালে উপকৃত হব।
উত্তরঃ রোযা ফরজ হওয়ার পর না জেনে ভুলবশত; অনিচ্ছাকৃত কেউ রমজানের রোযা না রেখে থাকলে, তা পরবর্তী সময় ও সুযোগ মত কাযা আদায় করবে। অর্থাৎ যত রোযা অনাদায়ী থেকে গেছে তা হিসেব করে একটি ফরজ রোযার স্থলে একটি কাযা রোযা আদায় করে নেবে। তদ্রুপ বালেগ হওয়ার পর থেকে এ যাবৎ যত দিন অবহেলা বশতঃ নামায কাযা হয়েছে, তা হিসাব করে দৈনিক ফজরের দু’রাকাত ফরজ, যোহরের চার রাকাত ফরজ, আসরের চার রাকাত ফরজ, মাগরীবের তিন রাকাত ফরজ, এশার চার রাকাত ফরজ ও তিন রাকাত বিতর নামাযসহ মোট বিশ রাকাত নামায সময় ও সুযোগমত কাযা আদায় করে নেবে এবং আল্লাহর দরবারে খালেছ অন্তকরণে তাওবা করবে ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
উল্লেখ্য যে, রমজান মাসের ফরজ রোযা এবং ফরজ নামাযসমূহ যা অবহেলা বশতঃ কাযা হয়ে গেছে তা অনতিবিলম্বে কাযা আদায় করে দেয়া অবশ্যই ফরজ। এ ব্যাপারে কোন প্রকারের অবহেলা ও তাল-বাহানা সম্পূর্ণ হারাম ও গুনাহ্। – (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ও উমদাতুর্ রেআয়া ইত্যাদি ।)
১২ – প্রশ্নঃ রমজান মাসে সেহরী খাওয়ার পূর্বে ঘুমে যদি স্বপ্নদোষ হয় আর এ অবস্থায় গোসল ব্যতিরেকে সেহরী খেলে রোযা হবে কি?
উত্তরঃ স্বপ্নদোষ বা স্ত্রী সহবাসের কারণে গোসল ফরজ হলে, গোসল করা ব্যতীত সেহরী খেয়ে রোযা রাখলে রোযা নষ্ট হবে না। এমনকি সারা দিন নাপাক অবস্থায় থাকলেও রোযা ভঙ্গ হবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরীক্ষণ পর্যন্ত গোসল না করা যাতে নামায কাজা হয়, এটা গুনাহ্ ও হারাম। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, যে ঘরে অপবিত্র ব্যক্তি থাকে, তাতে রহমতের ফেরেশতা আসেনা। তাই ফজরের নামাযের আগেই গোসল করে নেয়া উচিত। – (দূররে মুখতার ও আলমগীরী)
১৩ – প্রশ্নঃ আমরা জানি, ই’তিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্। মহল্লার মসজিদে কেউ ইতিকাফ রইল, একই মহল্লার অন্য একজন ব্যক্তি ইতিকাফ করার ইচ্ছা পোষণ করল। কিন্তু ঐ ব্যক্তির জন্য মহল্লার মসজিদ দূরে হওয়ায় এবং বিভিন্ন অসুবিধার কারণে মহল্লার মসজিদ ব্যতিরেকে পার্শ্ববর্তী মহল্লার মসজিদে সুবিধার কারণে ইতিকাফ রইলে তা পালন হবে কিনা? যদি পালন হয় তা কোন পর্যায়ের ইতিকাফের অন্তর্ভূক্ত হবে?
উত্তরঃ রমজানের শেষ দশকে ই’তিকাফ থাকা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্ আলাল কেফায়া অর্থাৎ মহল্লাবাসীর কেউ যদি ই’তিকাফ করে তাহলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু মহল্লার কেউ ই’তিকাফ না করলে, তাহলে সবাই সমানভাবে গুনাহ্গার হবে। আর স্বেচ্ছায় রমজানের শেষ দশকে ই’তিকাফ করতে চাইলে তা সুন্নাত হিসেবে ধরা হবে। সমস্ত মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে একজন থাকাটা হল সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ আলাল কেফায়াহ্। কেউ এমনি সুন্নাত হিসেবে রমজানের শেষ দশকে ই’তিকাফ করতে চাইলে নিজ মহল্লার মসজিদে থাকা শর্ত নয়। বরং সুবিধা মত যে কোন মসজিদে ই’তিকাফ করলে তা আদায় হয়ে যাবে। – (রদ্দুল মুহ্তার ও বাহারে শরীয়ত ইত্যাদি।)
১৪- প্রশ্নঃ তারাবীহ’র নামায যদি কোন কারণ বশত: এক দিন পড়া না হয় তাহলে যা পড়া হয়নি, অর্থাৎ খতমে তারাবীর ক্ষেত্রে সেগুলো যদি পরদিন তারাবীহ’র নামাযে আদায় করা হয়। অর্থাৎ সম্পূর্ণ খতম শেষ করা হয় এবং তারাবীহ’র নামায ৩০ দিন এর পরিবর্তে ২৯ দিন পড়া হল। তাহলে কি কোন গুনাহ্ হবে ?
উত্তরঃ তারাবীহ’র বিশ রাকাত নামায পড়া প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্। জামাত সহকারে মসজিদে আদায় করা উত্তম। নামাযে পূর্ণ এক খতম কোরআন পড়া সুন্নাত। তারাবীহ’র নামায ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেয়া নাজায়েয ও গুনাহ্। যদি কোন কারণে তারাবীহর নামায পড়া না হয়, তবে পরবর্তীতে তা কাযা করার প্রয়োজন নেই। কেউ যদি কাযা পড়ে তবে তা তারাবীহ হবেনা বরং তা নফল হয়ে যাবে। তারাবীহর নামাযে কদর রাত্রিতে কোরআন খতম করা মুস্তাহাব। কোন কারণে যদি তারাবীহ নামায ফাসেদ হয়ে যায়, তবে যতদূর কোরআন মজীদ ঐ নামাযে পড়া হয়েছে তা ফিরিয়ে পড়তে হবে। যাতে খতমে কোরআনের মধ্যে কোন প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে। যেদিন রমজানের চাঁদ দেখা দিবে, সেদিন থেকে তারাবীহ নামায শুরু হবে। শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে আর তারাবীহ পড়তে হবেনা। তাই চাঁদ দেখার ভিত্তিতে কোন রমজান ২৯ আর কোন রমজান ৩০ দিন তারাবীহ পড়তে হবে।
১৫- প্রশ্নঃ সমঝদার না-বালেগ হাফিজ ছেলের ইমামতিতে তারাবীহর নামায আদায় হবে কি? দলীল সহকারে জানতে বাসনা রাখি।
উত্তরঃ না-বালেগ হাফেজ ইমামের পেছনে বালেগ বা প্রাপ্ত বয়স্কদের তারাবীহর নামায শুদ্ধ হবেনা। যদি ঐ না-বালেগ হাফেজ সমঝদার হোক না কেন। বালেগ লোকের ইমামতি করার জন্য ইমামকে বালেগ হওয়া শর্ত। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। – (রদ্দুল মুহ্তার ও বাহারে শরীয়ত।)
১৬- প্রশ্নঃ ই’তিকাফ থাকা অবস্থায় মুরগী জবাই করা যাবে কিনা ?
উত্তরঃ ই’তিকাফ অবস্থায় মসজিদের বাইরে গিয়ে মুরগী ইত্যাদি যবেহ করলে ই’তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
বিভাগটি আরো সম্প্রসারিত করা হবে ইনশা’আল্লাহ
Discover more from RoushanDAlil.com
Subscribe to get the latest posts sent to your email.