মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান
নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি ওয়া নুসাল্লিম আলা রাসূলিহি ওয়া হাবীবিহিল কারীম ওয়ালা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমায়ীন ।যাদের উপর জুমা’র নামায ওয়াজিব হয়েছে তাদের জন্য ঈদের নামায ওয়াজিব।অর্থাৎ ঈদের দিন ঈদগাহে গিয়ে দু’রাকাত ঈদের নামায আদায় করা ওয়াজিব । ঈদের নামাযের শর্ত জুম’আর নামাযের মতই,তবে জুম’আর খুতবা ওয়াজিব আর ঈদের খুতবা সুন্নাত । ঈদের নামাযে কোন আযান ও ইকামত নেই । ঈদের নামাযে উভয় রাকা’তে অতিরিক্ত তিনটি করে মোট ছয়টি অতিরিক্ত তাকবীর বলতে হবে । প্রথম রাকা’তে তাকবীরে তাহরীমার পর তিনবার অতিরিক্ত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকা’তে ক্বিরাতের পর রুকূতে যাবার পূর্বে তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর বলতে হবে । তাকবীরের সময় হাত উত্তোলন করতে হবে । সূত্রঃ কুদূরী,হিদায়া,বাহারে শরীয়ত।
ঈদের নামাযে ছয় তাকবীর আদায় করাটা কোন বানোয়াট মত বা প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি । এটা হানাফী মাযহাবের আলোকে একটি আমল এবং এ ব্যাপারে মজবুত দলীলও বিদ্যমান আছে । এ সম্পর্কিত হাদীস শরীফ নিম্নে উপস্থাপন হলঃ
- হাদীস নম্বর ১
أَخْبَرَنِي أَبُو عَائِشَةَ، جَلِيسٌ لِأَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، سَأَلَ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، وَحُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ فِي الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ؟ فَقَالَ أَبُو مُوسَى: كَانَ يُكَبِّرُ أَرْبَعًا تَكْبِيرَهُ عَلَى الْجَنَائِزِ، فَقَالَ حُذَيْفَةُ: صَدَقَ، فَقَالَ أَبُو مُوسَى:كَذَلِكَ كُنْتُ أُكَبِّرُ فِي الْبَصْرَةِ، حَيْثُ كُنْتُ عَلَيْهِمْ، وَقَالَ أَبُو عائِشَةَ: وَأَنَا حَاضِرٌ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথী আবু আয়িশা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে, হযরত সায়ীদ ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদা হযরত আবু মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং হুযাইফা বিন ইয়ামান রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন, হুযূর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের নামাযে কিভাবে তাকবীর বলতেন? হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, তিনি জানাযার নামাযের তাকবীরের মত প্রতি রাকা’তে চার তাকবীর বলতেন(অর্থাৎ তাকবীরে তাহরীমাসহ অতিরিক্ত তিন তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকা’তে তিন তাকবীরসহ রুকূর তাকবীর।) এটা শুনে হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিনি হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু সত্য বলেছেন। অতঃপর হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন,যখন আমি বসরা শহরের আমীর ছিলাম তখন আমি এরূপ তাকবীর বলে ঈদের নামায আদায় করতাম ।
বর্ণনাকারী হযরত আবূ আয়িশা বলেনঃ এ হাদীস শরীফ বর্ণনাকালে আমি হযরত সায়ীদ ইবনুল আস এবং আবু মূসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট উপস্থিত ছিলাম।
সূত্রঃ সুনানে আবু দাউদ, বাবু তাকবীরি ফিল ঈদাইন , হাদীস নং–১১৫৩/১১৫৫, মুসনাদে আহমদ–১৯৭৩৪, বায়হাক্বী আস সুনানুল কুবরা– ৬১৮৩, তাহাভী শারহু মাআনিল আছার – ৭২৭৪।
- হাদীস নম্বরঃ ২
حَدَّثَنِي الْوَضِينُ بْنُ عَطَاءٍ أَنَّ الْقَاسِمَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ , قَالَ: حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: صَلَّى بِنَا , النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عِيدٍ , فَكَبَّرَ أَرْبَعًا , وَأَرْبَعًا , ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ حِينَ انْصَرَفَ , قَالَ: لَا تَنْسَوْا , كَتَكْبِيرِ الْجَنَائِزِ , وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ , وَقَبَضَ إِبْهَامَهُ
হযরত কাসিম আবু আব্দুর রহমান বলেন যে, আমাকে কতিপয় সাহাবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে ঈদের নামায আদায় করেন। তাতে তিনি প্রতি রাকা’তে চার চার তাকবীর বলেন অর্থাৎ প্রথম রাকা’তে তাকবীরে তাহরীমা সহ চার তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে রুকূর তাকবীর সহ চার তাকবীর। অতঃপর নামায শেষে হুযুর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন, ভুলে যেও না স্মরণ রাখবে, ঈদের নামাযের তাকবীর জানাযার নামাযের তাকবীরের অনুরূপ। সাথে সাথে হুযুর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃদ্ধাঙ্গুলী মুষ্ঠিবদ্ধ করে অবশিষ্ট চার আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করে দেখালেন।
সূত্রঃ ইমাম তাহাভী কৃত শরহে মা‘আনিল আছার, বাবু সালাতিল ঈদাইন কাইফা তাকবীরু ফিহা, হাদীস- ৭২৭৩।
- হাদীস নম্বরঃ ৩
عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ ” كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْعِيدَيْنِ تِسْعًا تِسْعَا: أَرْبَعًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ، ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ، وَفِي الثَّانِيَةِ يَقْرَأُ فَإِذَا فَرَغَ كَبَّرَ أَرْبَعًا، ثُمَّ رَكَعَ
হযরত আলক্বামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ঈদের নামাযে ৯টি তাকবীর বলতেন। ৪টি ক্বিরাতের পূর্বে। অর্থাৎ তাকবীরে তাহরীমা সহ ৪ টি। অতঃপর ক্বিরাত পড়ে তাকবীর দিয়ে রুকুতে যেতেন। দ্বিতীয় রাকা’তে ক্বিরাতের পর ৪টি তাকবীর বলতেন এবং চতুর্থ তাকবীরের সাথে রুকু করতেন ।
উল্লেখ্য এই হাদীসে তাকবীরে তাহরিমা ও রুকুর তাকবীর সহ পাঁচ তাকবীর হিসাব করা হয়েছে । দ্বিতীয় রাকা’তে রুকূর তাকবীর সহ চার তাকবীর । মূলত অতিরিক্ত তাকবীর ৬টিই ।
সূত্রঃ মুসান্নাফে আব্দির রাযযাক, কিতাবু সালাতিল ঈদাইন, হাদীস- ৫৬৮৬, তাবরানী আল মু‘জামুল কবীর ৯:৩০৪ হাদীস-৯৫১৭।
- হাদীস নম্বরঃ ৪
عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: كَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ جَالِسًا وَعِنْدَهُ حُذَيْفَةُ وَأَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، فَسَأَلَهُمَا سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ عَنِ التَّكْبِيرِ فِي الصَّلَاةِ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى فَجَعَلَ هَذَا يَقُولُ: سَلْ هَذَا، وَهَذَا يَقُولُ: سَلْ هَذَا، فَقَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ: سَلْ هَذَا ـ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ فَسَأَلَهُ، فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: يُكَبِّرُ أَرْبَعًا ثُمَّ يَقْرَأُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُومُ فِي الثَّانِيَةِ فَيَقْرَأُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ أَرْبَعًا بَعْدَ الْقِرَاءَةِ
আলকামা ও আসওয়াদ ইবনে ইয়াজিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত তাঁরা বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বসা ছিলেন এবং তার কাছে হুজায়ফা ও আবু মুসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাও ছিলেন। সাঈদ ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এসে হুযায়ফা ও আবু মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা কে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযের তাকবীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। একজন অপর জনকে দেখিয়ে বলতে লাগলেন তার কাছে জিজ্ঞাসা কর। অপরজন বললেন তার কাছে জিজ্ঞাসা কর। অতঃপর হুযায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে দেখিয়ে বললেন, তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা কর। সাঈদ ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, প্রথমে চার তাকবীর বলবে (তাকবীরে তাহরীমা সহ)। অতঃপর ক্বিরাত পরে তাকবীর বলে রুকুতে যাবে। অতঃপর দ্বিতীয় রাকা’তের জন্য যখন দাঁড়াবে প্রথমে ক্বিরাত পড়ে চার তাকবীর বলবে (রুকূর তাকবীরসহ)।
সূত্রঃ মুসান্নাফে আব্দির রাযযাক, কিতাবু সালাতিল ঈদাইন, হাদীস- ৫৬৮৭, তাবরানী আল মু‘জামুল কবীর ৯:৩০৪ হাদীস-৯৫১৬।
- হাদীস নম্বরঃ ৫
حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ كُرْدُوسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا كَانَ لَيْلَةَ الْعِيدِ، أَرْسَلَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ، وَأَبِي مَسْعُودٍ، وَحُذَيْفَةَ، وَالْأَشْعَرِيِّ، فَقَالَ لَهُمْ: إِنَّ الْعِيدَ غَدًا فَكَيْفَ التَّكْبِيرُ؟ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «يَقُومُ فَيُكَبِّرُ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ، وَيَقْرَأُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ، وَسُورَةٍ مِنَ الْمُفَصَّلِ، لَيْسَ مِنْ طِوَالِهَا وَلَا مِنْ قِصَارِهَا، ثُمَّ يَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُومُ فَيَقْرَأُ، فَإِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ، كَبَّرَ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ، ثُمَّ يَرْكَعُ بِالرَّابِعَةِ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ঈদের রাতে ওয়ালিদ বিন ওকবা রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু মাসউদ, হুজায়ফা ও আবু মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম সাহাবীদের কাছে এই বলে লোক পাঠালেন যে, আগামী কাল ঈদ।অতএব তাকবীর কিভাবে বলতে হবে ? আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, প্রথম রাকা’তে দাঁড়িয়ে চার তাকবীর (তাকবীরে তাহরীমা সহ) বলে সূরায়ে ফাতিহা এবং মধ্যম আকারের একটি সূরা পাঠ করবে। অতঃপর রুকু করবে,দ্বিতীয় রাকা’তের ক্বিরাতের পর চার তাকবীর বলবে এবং চতুর্থ তাকবীরের সাথে রুকু করবে।
সূত্রঃ মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, কিতাবু সালাতিল ঈদাইন হাদীস- ৫৭০৫।
- হাদীস নম্বরঃ ৬
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ أَمِيرًا مِنْ أُمَرَاءِ الْكُوفَةِ، قَالَ سُفْيَانُ: أَحَدُهُمَا سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِي، وَقَالَ الْآخَرُ: الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ، بَعَثَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، فَقَالَ: إِنَّ هَذَا الْعِيدَ قَدْ حَضَرَ فَمَا تَرَوْنَ؟ فَأَسْنَدُوا أَمْرَهُمْ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ: يُكَبِّرُ تِسْعَا تَكْبِيرَةٍ يَفْتَتِحُ بِهَا الصَّلَاةَ، ثُمَّ يُكَبِّرُ ثَلَاثًا، ثُمَّ يَقْرَأُ سُورَةً، ثُمَّ يُكَبِّرُ، ثُمَّ يَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُومُ فَيَقْرَأُ سُورَةً، ثُمَّ يُكَبِّرُ أَرْبَعًا، يَرْكَعُ بِإِحْدَاهُنَّ
বিশিষ্ট তাবেয়ী ইব্রাহীম নখয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, কুফার একজন আমির (আমিরের নাম সম্পর্কে সুফিয়ান রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, একজন সাঈদ ইবনুল আসের নাম বলেছেন অন্যজন ওয়ালিদ ইবনে ওকবার কথা বলেছেন) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান, ও আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম সাহাবীদের কাছে এই বলে লোক পাঠালেন যে, ঈদ তো এসে গেছে, এখন ঈদের নামায কিভাবে পড়তে হবে ? আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, নয়টি তাকবীর বলবে, প্রথম তাকবীর দিয়ে নামায শুরু করবে। অতপর অতিরিক্ত ৩ তাকবীর বলে সূরা পড়বে। এরপর রুকুর তাকবীর বলে রুকুতে যাবে। দ্বিতীয় রাকাতের জন্য যখন দাঁড়াবে,সূরা পড়ে চার তাকবীর বলবে এবং চতুর্থ তাকবীরের সাথে রুকু করবে ।
সূত্রঃ মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, কিতাবু সালাতিল ঈদাইন হাদীস- ৫৬৯৯