একজন মুসলিম হিসেবে রমযানে আপনার রয়েছে পাঁচটি কর্তব্য

রমজান মাস বরকতের মাস, ফজিলতের মাস, আত্মিক পরিশুদ্ধির মাস, সামাজিক পরিশুদ্ধির মাস, নৈতিক পরিশুদ্ধির মাস, দৈহিক পরিশুদ্ধির মাস। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন। এ মাসেই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য রোজা রাখা হয়। “রোজা” ফারসি শব্দ। এর আরবি হচ্ছে সওম। বহুবচন সিয়াম। অর্থ- বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সওম হলো আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের প্রারম্ভ হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই মাসটিকে পবিত্রতার সাথে পালন করে থাকেন। এই পবিত্র মাসে একজন মুসলমান হিসেবে আপনি যে ৫ টি কাজ অবশ্যই পালন করবেন।

  • ১. রোজা রাখুন :

২য় হিজরীর শাবান মাসে মদীনায় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়। আয়াতটি হলো-

‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও। সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩।’

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ আরো বলেন-

‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসকে পায় সে যেন রোজা রাখে। সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৫।’

তাই একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে এই মাসটিতে অবশ্যই রোজা রাখুন এবং আল্লাহ তাআলার ইবাদত করুন।

  • ২. নামাজ পড়ুন :

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবার, সাহাবীদের এবং যারা তাদের অনুসরণ করে তাদের সকলের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। নামাজ বা সালাত মূলত আল্লাহকে খুশি করার জন্যই পড়া হয়ে থাকে। তাই এই রমজান মাসে আপনি একজন মুসলমান হিসেবে নিয়ম করে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। দেখবেন মনে শান্তি বর্ষিত হবে।

  • ৩. সত্য কথা বলুন :

আমরা সবাই প্রায় সময়ই মিথ্যা কথা বলে থাকি। সত্য কথাকে একেবারে আমাদের জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছি। তাই এই রমজান মাসে আল্লাহকে ভয় করে হলেও সদা সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন।

  • ৪. অন্যায় করবেন না :

রমজান মাসটি অনেক পবিত্র একটি মাস। এ মাসে এমনিতেই মুসলমানরা অন্যায় কম করে থাকেন। ন্যায়ের পথে চলেন। আপনি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আরও একটু সচেতন হয়ে অন্যায় কাজকে পরিত্যাগ করুন এবং এটি আপনার জীবনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করুন।

  • ৫. গরীবদের সাহায্য করুন :

প্রতিদিনই আমরা অনেক টাকা অনেক বাজে কাজে ব্যয় করে থাকি। একবার ভেবে দেখুন এই টাকাগুলো দিয়ে গরীব দুঃখীদের সাহায্য করি তাহলে হয়ত তাদের আহারের রুজিটি হত। তাই আসুন এই রমজান মানে বেশি বেশি করে গরীবদের সাহায্য করি এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করি।

[রওশন দলীল ডেস্ক]

Discover more from RoushanDAlil.com

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Check Also

রোজার শারিরিক ও মানসিক উপকারীতা

মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান অনেক মুসলমানই  স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে রোজা রাখেন না,অথচ কুরআনে কারীমে রোজা রাখার ব্যাপারে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from RoushanDAlil.com

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading